দেশজুড়ে বর্ষা আসার আগে বন্ধ থাকে ইলিশ মাছ ধরা। ইলিশের প্রজননের স্বার্থেই ৫০ দিন এই নিয়ম পালন করা হয়। এ বছরও এই নিয়মের বাত্যয় হয়নি। ১৪ জুন এই নিয়ম উঠছে। অর্থাৎ ১৫ জুন থেকে ট্রলার নিয়ে সমুদ্রের যেতে পারবেন মৎস্যজীবীরা। সেই কারণেই জামাইষষ্ঠীর আগে মাছের আকাল। ইয়াসের ধাক্কা এবং নিয়মের ফাঁস-এই জোড়া চাপে ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যাচ্ছেন না ওড়িশার মৎস্যজীবীরাও। তবে সূত্রের খবর ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় গভীর সমুদ্রে গিয়ে তুলে আনা কিছু ইলিশ ওড়িশা থেকে বাংলার বাজারে ঢুকেছে। যদিও পরিমাণনে তা অতি সামান্য। আপাতত ভরসা এটুকুই।
advertisement
উল্লেখ্য বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের মাছ , যদি বাংলাদেশ গত বছর কয়েক হাজার টন মাছ পাঠিয়েছিল সৌজন্যবশেই। কিন্তু নিয়মিত এই মাছের যোগান বন্ধ। আপাতত আশার কথা, এই আ্রকালে মায়ানমার থেকে হাওড়ার বাজারগুলিতে কিছু মাছ এসেছে। তবে সূত্রের খবর এই মাছগুলো কোল্ড স্টোরেজের তাজা মাছ নয়।
জানা যাচ্ছে দিঘা থেকে প্রায় ১৮০০ ট্রলার ফের গভীর সমুদ্রে মাছের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছে সোমবার অর্থাৎ ১৪ জুন রাতেই। কিন্তু টানা লকডাউন ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় সুন্দরবনের অনেক ট্রলার পাড়ি দিতে পারছে না। কারণ টানা লকডাউনের জেরে ট্রলারের মেরামতির কাজ শেষ করতে পারা যায়নি। এছাড়া ইয়াসের দাপটে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অংশ। ট্রলারের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় অনেকেই এখনই ট্রলারের সঙ্গে যেতে রাজি নয়। এই সব মিলিয়েই বাজারে ইলিশের দেখা নেই।
