সুজলীর মা মারা যায় তার বয়স যখন মাত্র এগারো দিন। তারপর থেকেই চন্দননগর কেএমডিএ পার্কের পাশে মামার বাড়িতে বড় হওয়া।বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে আলাদা সংসারে থাকেন।মাঝে মধ্যে এসে খোঁজ নেন। তবে প্রাক্তন জুটমিল শ্রমিক মামা সত্যজিৎ রায়ই তাকে বড় করেছেন।
আরও পড়ুন: শনি-রবি গ্রিন লাইনে সম্পূর্ণ বন্ধ মেট্রো!সোমবার কখন থেকে স্বাভাবিক পরিষেবা?কেন বন্ধ? জানুন
advertisement
সুজলী চন্দননগর লালবাগান বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় তার অসুস্থতা ধরা পড়ে। জানা যায় তাঁর ওভারিতে টিউমার রয়েছে। বায়োপসিতে ধরা পড়ে ক্যানসার। এরপর শুরু হয় কেমো থেরাপি। মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে পাশ করেছিল সুজলী। অসুস্থতার কারণে গতবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারেনি সে।
তবে তাঁর মনের জোর ছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে।সেই মতোই চলছিল প্রস্তুতি। চন্দননগর কৃষ্ণভাবিনি নারী শিক্ষা মন্দিরে পরীক্ষার সিট পড়ে।প্রথম দিন বাংলা পরীক্ষা দেওয়ার পরই আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। সারারাত পেটে অসহ্য যন্ত্রণায় ঘুমোতে পারেনি সুজলী।
আরও পড়ুন: ‘৫০ বছরে,বাংলার ঘরে ঘরে…’!নারীদের স্বাস্থ্য-শিক্ষা-সুরক্ষার উন্নয়নে প্রকল্পের পর প্রকল্প
তার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অর্পিতা মন্ডল জানান,তাকে ফোন করে শরীর খারাপের কথা জানায় সুজলী। আর পরীক্ষায় বসতে পারবে কিনা তানিয়ে দ্বিধা তৈরি হয়।স্থানীয় চিকিৎসক দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা স্কুলেই দেন। প্রধান শিক্ষিকা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের হুগলি জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক শুভেন্দু গড়াই এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নীলরতন সরকার হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। ছাত্রী জানায় হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দেবে। সেইমতো সব ব্যবস্থা করা হয়। এরপরেই হাসপাতাল থেকেই অদম্য জেদ নিয়ে পরীক্ষায় বসে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুজলী। তাঁর এই জেদকে সাধুবাদ জানিয়েছে