কলকাতা হাইকোর্ট এদিন ভোটপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশই আগামীকাল অর্থাৎ ১৭ এপ্রিল অবধি বহাল রাখল ৷ এদিন শুনানি চলাকালীনই মামলা সিঙ্গল বেঞ্চে পাঠানোর পরামর্শ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
মামলাকারীকে সিঙ্গল বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিশ্বনাথ সমাদ্দার বলেন,‘আপনারা সিঙ্গল বেঞ্চে যান ৷ যদি সিঙ্গল বেঞ্চে কিছু না পান ৷ তাহলে কাল আবার ডিভিশন বেঞ্চে আসুন ৷ এই মামলা সিঙ্গল বেঞ্চের বিচার তালিকায় ৷ সিঙ্গল বেঞ্চে যাচ্ছেন না কেন?’
advertisement
সিঙ্গল বেঞ্চে মূল মামলার গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশনের বেঞ্চের সামনে জানান, ‘সিঙ্গল বেঞ্চ পক্ষপাতদুষ্ট রায় দিয়েছে।’
ডিভিশন বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের নির্দেশ, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে সন্তুষ্ট না হলেও তবেই মামলা শুনবে ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন ডিভিশনে বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। পালটা মামলাকারীরা জানান, রিট পিটিশনের শুনানি শুনতে পারেনা সিঙ্গল বেঞ্চ। তাই ডিভিশন বেঞ্চে আসা। যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায় তুলে ধরে বিচারপতি সমাদ্দারের নির্দেশ, মামলা হাইকোর্ট গ্রাহ্য বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তাই এনিয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই।
এদিন আদালতের নির্দেশমতো সিঙ্গল বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কমিশন ৷ বৃহস্পতিবার বিরোধীদের করা মামলায় পঞ্চায়েত ভোটের যাবতীয় প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। গত চারদিন ধরে বন্ধ ছিল ভোট প্রক্রিয়া। সেই সময় বাড়ল আরও একদিন ৷
অতএব ১মে প্রথম দফার ভোট হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছে। ভোট প্রস্তুতি বন্ধ থাকার মেয়াদ আরও একদিন বাড়ায় পয়লা মে-র আগে, প্রতীক বাছাই, ব্যালট পেপার ছাপানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করতে পারবে না কমিশন বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ৷ মঙ্গলবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের ওপরেই নির্ভর করছে পঞ্চায়েতের ভবিষ্যত।