TRENDING:

১৬,৫০০ শূন্য পদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ, চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে পর্ষদ

Last Updated:

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলার ভিত্তিতেই এ দিন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
SOMRAJ BANDOPADHYAY
advertisement

#কলকাতা: সোমবারই কলকাতা হাইকোর্ট ১৬৫০০ শূন্যপদে  নিয়োগের জন্য যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে এবার তাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রের খবর ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার বিষয়ে সময় নষ্ট করতে চাইছে না আধিকারিকরা। কারণ ইতিমধ্যেই অনেক প্রার্থীকেই নিয়োগপত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে । ফলতঃ এই পরিস্থিতিতে নিয়োগপত্র ফেরানো কী করে সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তার জেরেই আইনি দিক খতিয়ে দেখে তাড়াতাড়ি ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মূলত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলার ভিত্তিতেই এ দিন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে মোট ১৬ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরপরই তৎপরতা শুরু হয়ে যায় স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে যাঁরা যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তাঁদের কাছ থেকেই আবেদনপত্র চাওয়া হয়। গত ১০ জানুয়ারি থেকে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মূলত ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে এই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মেধাতালিকা প্রকাশ করে। ১৬৫০০ শূন্য পদের মধ্যে ১৫২৮৪টি শূন্যপদের মেধাতালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। বাকি পদগুলি কেন মেধা তালিকা প্রকাশ করা হল না সেই বিষয়টিও বিস্তারিত ব্যখ্যা দেয় পর্ষদ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

মূলত এই মেধাতালিকা তেই অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সোমবার এই মামলার উঠলে কলকাতা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়। পুরো প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে দেওয়া হয়। ফলতঃ যাঁরা চাকরির নিয়োগপত্র পেয়ে ইতিমধ্যেই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের কী হবে তা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তৈরি হতে শুরু করে। হাইকোর্টের এই রায়ের পরপরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আইনজীবিদের মতামত নিতে শুরু করে। সূত্রের খবর তারপরে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার ব্যাপারে একপ্রকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে হাইকোর্টের এই রায়ের পর পর নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া আপাতত চলবে নাকি বন্ধ থাকবে সেই বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্ষদের তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। পর্ষদের একাংশের মতে যে হেতু বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট জারি হতে খানিকটা সময় রয়েছে তাই ডিভিশন বেঞ্চের যাওয়ার ব্যাপারে দেরি করতে চাইছে না পর্ষদ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
১৬,৫০০ শূন্য পদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ, চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে পর্ষদ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল