আমফান ১০০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করবে সিএজি। ৩ মাসের মধ্যে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অব ইন্ডিয়াকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একদিকে অর্থনৈতিক, অন্যদিকে পারফরম্যান্স ভিত্তিক, দুই ধরনের তদন্ত (অডিট) করবে কেন্দ্রীয় এই প্রতিষ্ঠান।
বিধি মেনে কী পদক্ষেপ দুর্নীতির প্রশ্নে কেন্দ্র নিতে পারে তাই জানতে চায় হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই নিয়ে কেন্দ্র অবস্থান স্পষ্ট করতেই ক্যাগ কে তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে দেয় আদালত।
advertisement
আয়লা পর আমফান। প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলেই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ করা হয়। রাজনৈতিক চর্চা হয় বিস্তর। এমন অবস্থার পুনরাবৃত্তি রুখতে আদালতের পদক্ষেপ কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে বলে মত আইনজীবী মহলের।
আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় বিস্তর গলদ। আসল ক্ষতিগ্রস্তরা কেন্দ্রের পাঠানো টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।এমনই অভিযোগ নিয়ে, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে মোট পাঁচটি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। প্রথম জনস্বার্থ মামলাটি করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর আইনজীবী বিকাশ সিং জানান, " ক্যাগ তদন্ত করে গাফিলতি খুঁজে পেলে ফৌজদারি অপরাধের মামলা হতে পারে। এই অপরাধের তদন্তভার ইডি তখন হাতে নিতে পারে। আমার মক্কেল বিজেপি সহসভাপতি অর্জুন সিং ১০০০ কোটি টাকা বন্টনের আগেই হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করে।"
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাম কৃষক স্যগঠন জনস্বার্থ মামলা করে। আইনজীবী শামিম আহমেদ জানান, "কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া টাকার সুবিধাভোগী কারা এই তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমাদের দুর্ণীতির অভিযোগ প্রমাণিত হাইকোর্টের নির্দেশে।" আর এক জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী শমীক বাগচি জানান, "সিএজি তদন্ত চললেও আসল ভুক্তভোগী দের টাকা পাওয়া আটকে থাকবেনা। প্রশাসনের সেই পদক্ষেপে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।"
