বন্দর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, “তৎকালীন সময়ে স্কটল্যান্ড বা ইওরোপ থেকে যে ক’টি স্টিমার ভারতে এসেছিল, তার মধ্যে এটিই একমাত্র রয়ে গিয়েছে। বাকি সব স্ক্র্যাপ হয়ে গিয়েছে। তাই ঐতিহাসিক ভাবে এই স্টিমারের গুরুত্ব অনেক। আমরা সেটাকেই বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে ফের লাইভ করে তুলেছি।” ৭৮ বছরের পুরানো এই স্টিমার স্কটল্যান্ডের ডেনি অ্যান্ড ব্রাদার্স তৈরি করেছিল। স্বাধীনতার আগে অবিভক্ত বাংলা ও অসমে স্টিমার পরিষেবা চালাত মূলত দু’টি সংস্থা। ইন্ডিয়া জেনারেল নেভিগেশন অ্যান্ড রেলওয়ে কোম্পানির জন্য, এই পিএসভূপাল স্টিমারটি তৈরি হয়েছিল।
advertisement
গঙ্গা, ব্রক্ষ্মপুত্র, পদ্মা নদীতে তাদের এই স্টিমার চলত। যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ করত এই স্টিমার। কয়লা পুড়িয়ে উৎপাদিত বাষ্পে এর ইঞ্জিন চালানো হত। এখনও সেই ইঞ্জিন রয়েছে। তবে কয়লার বদলে আপাতত ডিজেল দিয়ে চলবে এই প্যাডেল স্টিমার। এই স্টিমারের বৈশিষ্ট্য হল, এর দু’দিকে বিশালাকার চাকার মতো দেখতে প্যাডেল আছে। যা জল কেটে স্টিমারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পুরনো ঐতিহ্য মেনেই দু’দিকে রয়েছে সেই প্যাডেল।
বন্দর চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানিয়েছেন, “সপ্তাহে রোজ চলবে এই স্টিমার। হেরিটেজ পোর্ট দেখানো হবে। মাসে তিনদিন করে স্টিমার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরকে দেবে বেসরকারি সংস্থাটি। আমরা আশাবাদী এই শহরের মানুষ ছাড়াও, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এই স্টিমার দারুণ জনপ্রিয় হবে। যা পর্যটনের ক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা গ্রহণ করবে।”
স্টিমারের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ছাড়াও এটিকে নানা অনুষ্ঠানে ব্যবহার করার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। বিশাল ডেক যা ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গ্লাস অডিটোরিয়াম আছে৷ তবে এই স্টিমারের মিউজিয়াম না দেখলে ভারতীয় জলপথের ইতিহাস অজানা থেকে যাবে বলে জানাচ্ছেন বন্দর আধিকারিকরা।