১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর দীনেশ গুপ্ত, বিনয় বসু ও বাদল গুপ্ত মহাকরণে প্রবেশ করেন। গুলি করে হত্যা করেন অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ অফিসার কর্ণেল সিম্পসনকে। আহত হন টোয়াইনাম প্রেন্টিস ও নেলসন। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ পুলিশ ঘিরে ফেলে বিনয়-বাদল-দীনেশকে। বাদল গুপ্ত পটাসিয়াম সায়ানাইড খান। বিনয় বসু ও দীনেশ গুপ্ত নিজেদের গুলি করেন। বিনয় বসু হাসপাতালে মারা যান ১৩ ডিসেম্বর। দীনেশ গুপ্ত সুস্থ হলে, শুরু হয় বিচার পর্ব।বিচারে ফাঁসি দেওয়া হয় তাকে। এই বীরগাথাই তুলে ধরা হচ্ছে স্টেশন গ্যালারিতে। এ ছাড়া একাধিক মুদ্রা ও হেরিটেজ ভবনের নানা গল্প থাকছে এই স্টেশন জুড়ে। কাজ শুরু হল মহাকরণ স্টেশনের এই গ্যালারি নির্মাণের।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতায় এলেন অনুব্রত, বুধবারই সিবিআই-এর মুখোমুখি তৃণমূল নেতা?
এই স্টেশনের প্রথম তলা ব্যবহার হবে সাবওয়ে হিসাবে। কারণ মহাকরণ চত্বর বা হেমন্ত বসু সরণী সদা ব্যস্ত একটা রাস্তা। সাবওয়ে হয়ে গেলে, রাস্তা পারাপারের প্রয়োজন হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে যানজট বা ভোগান্তি অনেকটাই কমবে। সেন্ট অ্যান্ড্রুজ চার্চের বিপরীত ফুটপাথে ও পাওয়ার টুলস ভবনের কাছের গেট ব্যবহার হবে সাবওয়ে হিসাবে। ফলে মহাকরণ থেকে লালবাজার রাস্তা পেরোতে হবে না। দ্বিতীয় তলা অবশ্য পুরোটাই পেড জোন। এখানে টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে স্টেশন পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা থাকবে। সেখান থেকে চলে যাওয়া যাবে প্ল্যাটফর্মে। এই স্টেশনে হতে চলেছে আইল্যান্ড প্ল্যাটফর্ম।
আরও পড়ুন: 'আসানসোলে খেলা ভালই জমবে', ফের স্বমেজাজে দাপুটে অনুব্রত মণ্ডল, কেন এমন বললেন?
এ ক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্মের দুটি দিক আপ ও ডাউনের জন্য ব্যবহার হবে। স্টেশনে থাকছে ৪টি এসক্যালেটর, ২ লিফট। যেহেতু হাই সিকিউরিটি জোন তাই থাকছে ৫টি ফায়ার এক্সিট। রাইটস মতো কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে এই স্টেশনে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৩০০০০ যাত্রী যাতায়াত করবেন। ফলে সেই তথ্য বিশ্লেষণ করেই চলছে স্টেশন গড়ার কাজ। গোটা স্টেশন সাজানো হবে বিভিন্ন ম্যুরাল দিয়ে। তাতে থাকবে মহাকরণের ইতিহাস। থাকবে বিনয় বাদল ও দীনেশের গল্প। এ ছাড়া হেরিটেজ ভবনগুলির গল্প সাজানো থাকবে এই স্টেশন জুড়ে।
ABIR GHOSHAL