রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির একাংশে তৈরি করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষাকর্মীদের দলীয় দফতর। আর সেই দফতর করতে গিয়েই পরিবর্তন করা হয় হেরিটেজ ঘরের বেশকিছু অংশে। এই অবৈধ নির্মাণের কথা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় সব মহলে।
আরও পড়ুন: জি২০ বৈঠকের প্রস্তুতি পর্ব, সবার সাহায্য চাইলেন মোদি, ‘সাহায্য করব’, বললেন মমতা
advertisement
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি। এমন এক ঐতিহ্যশালী ক্যাম্পাসে কী ভাবে কোনও সংগঠনের দফতর তৈরি হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তনী ও বর্তমান ছাত্রদের একাংশ। এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে রবীন্দ্রপ্রেমীদের মধ্যেও তীব্র অসন্তোষ ছড়ায়।
বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূলের ওই দলীয় দফতরের নির্মাণকাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয় বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখে আসার জন্য।
আরও পড়ুন: ‘আমি আগেই বলেছিলাম ৩০ হাজার বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে’: শুভেন্দু অধিকারী
মঙ্গলবার সেই হেরিটেজ কমিটির সদস্যেরাই রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে যান এবং ঘুরে দেখেন হেরিটেজ ভবনের বিতর্কিত অংশ। এদিনের পরিদর্শক দলে ছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান অনিন্দ্য কর ফর্মা-সহ অন্যান্যেরা।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, পরিদর্শনকালে বিতর্কিত অংশে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন চোখে পড়েছে কমিটির সদস্যদের। যেমন, শিক্ষা বন্ধু সমিতির ওই ঘর নির্মাণের সময় একটি ঘরের রঙ পরিবর্তন করা হয়েছে। রঙ করা হয়েছে আরও একটি ঘরের নীচের অংশে। দুটি ঘরের সিলিংয়ের কাঠামো পরিবর্তন করা হয়েছে। চৌকাঠের অংশ ভেঙে নতুন করে তৈরি হয়েছে। এছাড়া, দরজার বেশ কিছু অংশেও বেশ ক্ষতি হয়েছে। মেঝের সিমেন্ট করে উচুঁ করে বসানো হয়েছে পাথর।
বিতর্কিত অংশ পরিদর্শন শেষে হেরিটেজ কমিটির সদস্য হিমাদ্রি গুহ বলেন, "আমরা আদালতের নির্দেশে গোটা বিষয়টি পরিদর্শন করলাম। বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে। সেগুলো আমরা লিখিত ভাবে আদালতের কাছে জমা করব।"
বিষয়টি নিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বলেন, "গোটা ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আড়াল রেখে করা হয়েছিল। জানা মাত্রই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি তালাও লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপরে আদালত যেমন বলবে, সেই নির্দেশ মতো আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।"