বেলা গড়াতেই সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন ধর্মঘটীরা।
রাজাবাজারে ধর্মঘটীদের বিক্ষোভ। যাদবপুরে সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এ দিন রেল অবরোধ চলে। পাশাপাশি লেনিন সরণিতে জোর করে দোকান বন্ধের অভিযোগ ওঠে বামেদের বিরুদ্ধে। অশান্তি দেখা যায় বারাসাতে। লাঠিচার্জ করে ধর্মঘটীদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
advertisement
এ দিকে প্রতিবারের মতোই ধর্মঘটে সরকারি কর্মীদের অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক এমন নোটিফিকেশন জারি করেছে রাজ্য সরকার। ফলে ভোগান্তি এড়িয়ে সময় মতো অফিস পৌঁছনোই আপাতত চ্যালেঞ্জ সরকারি কর্মীদের। সরকারি-বেসরকারি বাসই ভরসা আজ বহু মানুষের।
ধর্মঘটে যাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে ৫ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করে রাজ্যপ্রশাসন। বৃহস্পতিবারের এই ধর্মঘটের আহ্বায়ক সিআইটিইউ, এআইটিইউসি, আইএটিইউ,ই. এইচএমএস, টিইউসিসি, এলপিএফ, সেবা, ইউটিইউসি-এর মতো সংস্থাগুলি। ধর্মঘটে দাবি তোলা হচ্ছে, দেশের সাধারণ মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ানোর। ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্বরা বলছেন, করোনায় ধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি, জিডিপি তলানিতে চলে গিয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে কলকরাখানা-সহ নানা বেসরকারি সংস্থায় ছাঁটাই। ছোট ব্যবসায়ীরাও তীব্র সঙ্কটে। এই অবস্থায় মানুষের আয় বাড়াতে কর্মসংস্থানের দাবিতে পথে নামছেন তাঁরা।