হুগলির রামমোহন কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ার সময়ই খানাকুলের বাসিন্দা রূপালি দত্তের বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের এক বছর আগে অর্থাৎ, ২০১৪-য় পড়াশোনা করার সময়ই, কন্যাশ্রী প্রকল্প বাবদ প্রাপ্য টাকা পাওয়ার আবেদন করেন তিনি। মাঝে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও সেই টাকা আজও মেলেনি।
উপরন্তু খানাকুলের বিডিও অফিসের তরফে গত বছরের নভেম্বরে জানানো হয়, ২০১৩-১৪-র আর্থিক বর্ষের সিস্টেম ক্লোজ হয়ে যাওয়ায় সেই টাকা আর পাওয়া যাবে না। প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরেও নিট ফল শূন্য। শেষমেশ প্রাপ্য টাকা পেতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন রূপালি দত্ত।
advertisement
সোমবার মামলার শুনানির সময় প্রশাসনের এহেন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদালত। কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা দিতে টালবাহানা করায়, বিডিওকে কড়া ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। সাতদিনের মধ্যে মামলাকারীকে প্রাপ্য টাকা না দিলে, বিডিওর বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর নতুন করে আশার আলো দেখছেন এক সন্তানের মা। অভাবের তাড়নায় মাঝপথে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার কন্যাশ্রীর প্রাপ্য টাকা মিললে ফের পড়াশোনা শুরু করতে চান রূপালি দত্ত।