এই সমস্ত ঘটনা থেকেই অয়নের উপরে তার প্রেমিকার পরিবারের আক্রোশ জন্মেছিল বলেই অনুমান তদন্তকারীদের৷ যদিও অয়নের সেই মোবাইল ফোন এখনও নিখোঁজ৷
তদন্তে নেমে পুলিশ এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছে, অয়নের সঙ্গে ওই যুবতীর পাশাপাশি তার মায়েরও সম্পর্ক ছিল৷ মেয়ে তো বটেই, স্ত্রীর সঙ্গে অয়নের এই সম্পর্ক মানতে পারেনি অয়নের প্রেমিকার বাবা৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি মোবাইল থেকে ডিলিট করে দেবে বলেও তা করেনি অয়ন৷
advertisement
আরও পড়ুন: বিয়ে ঠিক হতেই পিংলায় তরুণীকে প্রাণে মারার চেষ্টা! ঠেলে ফেলা হল চলন্ত গাড়ি থেকে
সম্ভবত তা থেকেই অশান্তির সূত্রপাত৷ অয়ন ওই সমস্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি দেখিয়ে ওই যুবতী এবং তার মাকে ব্ল্যাকমেল করত, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা৷ তাই যে কোনও ভাবে অয়নের ওই মোবাইল ফোন হাতে পাওয়াই ছিল অয়নের প্রেমিকা এবং তার মায়ের উদ্দেশ্য৷ এখনও পর্যন্ত পুলিশের অনুমান, এই বচসার জেরেই অয়নকে খুনের ছক কষা হয়৷ এবং দশমীর দিন তাঁকে নিজের ডেকে পাঠায় প্রেমিকা৷
আরও পড়ুন: কলকাতায় পুলিশের নাকের ডগায় রমরমিয়ে চলছে হাওয়ালার কারবার!
অয়নের এক বন্ধুর দাবি, ঘটনার দিন অয়ন যখন প্রেমিকার বাড়িতে যায়, তখন বাড়িতে প্রেমিকার বাবা ছিলেন না৷ কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে ফেরেন তিনি৷ প্রেমিকার ভাইও চলে আসে৷ ফলে অয়ন সেখান থেকে বেরোতে না পেরে বাড়ির ছাদে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন৷ সেখান থেকেই নিজের ওই বন্ধুকে ফোন করে এ কথা জানিয়েছিলেন তিনি৷ রাত তিনটে নাগাদ আর এক বন্ধুকে ফোন করে অয়ন নাকি জানিয়েছিলেন, বান্ধবীর মার তাঁর বুকে আঘাত করেছেন৷ যদিও সেই বন্ধু অয়নকে ফিরিয়ে আনার কথা বললেও তাঁকে সেরকম কিছু করতে নিষেধ করেন অয়ন৷
তদন্তকারীদের অনুমান, রাত তিনটের পরেই প্রেমিকার বাড়ির দোতলার ঘরে খুন করা হয় অয়নকে৷ ওই যুবকের প্রেমিকা, তার মা- বাবা, নাবালক ভাই সবাই এই খুনে জড়িত ছিল৷ খুনের পর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মগরাহাটের মাগুরপুকুর এলাকায়৷ পাশাপাশি দোতলার ওই ঘরে থাকা রক্তের দাগও ধুয়ে ফেলে ঘর গুছিয়ে রাখা হয়৷ পরের দিন অয়নের খোঁজে তাঁর বাড়িতেও যান অয়নের প্রেমিকা৷