আফসার আলী খান নামের সেই আধিকারিক তাঁর অফিসে ঢুকে তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন তেমন একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতালে। প্রসঙ্গত হাসপাতালের পড়ুয়া এবং চিকিৎসকদের বিক্ষোভের জেরে গত চার দিন ধরে দায়িত্ব নিতে নিজের ঘরেই ঢুকতে পারেননি কলেজের নতুন অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘরের দরজা বন্ধ রেখে তার সামনেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আরজিকর হাসপাতালের পড়ুয়া চিকিৎসকদের একাংশ। ফলে হাসপাতালে আসলেও বাধ্য হয়েই ডিউটির সময় সুপারের ঘরেই থাকতে হচ্ছিল নয়া অধ্যক্ষকে।
advertisement
পড়ুয়া চিকিৎসকদের দাবি ছিল, সরকারি বদলির নির্দেশে সায় নেই তাঁদের। বিদায়ী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেই আবার ফিরিয়ে আনতে হবে ওই পদে। যদিও পড়ুয়া চিকিৎসকদের অন্য অংশটির দাবি ছিল, তাঁরা সরকার নিয়োজিত নয়া অধ্যক্ষকেই স্বাগত জানাতে চান। কারণ বিদায়ী অধ্যক্ষ বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে বিভাজন করতেন। এই পরিস্থিতিতে গতকালের বৈঠকে স্থির হয়েছিল শনিবার থেকেই নিজের ঘরে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, নয়া অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু তারপরেও শুক্রবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের লিখিত অভিযোগ আরও একবার আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের অচলাবস্থা নিয়ে তুলে দিল প্রশ্ন। যদিও পাল্টা নয়া অধ্যক্ষের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অভিযুক্ত নিরাপত্তা আধিকারিক আফসার আলী খান। তার দাবি শুক্রবার অধ্যক্ষের ঘরে যেতে কিছুটা দেরি হলে অধ্যক্ষ দুর্ব্যবহার করেন তার সঙ্গে। সেই কারণেই মাথা গরম হয়ে যাওয়ায় এইরকম ব্যবহার তিনি করেছেন। ভিডিও আংশিকভাবে প্রকাশ করে অপব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছে এমনটাই দাবি করেন তিনি।