এর জন্য হলদিয়া বন্দর ও প্রোটোকল রুট ব্যবহৃত হবে। এতদিনে তার সূচনা হল বলে জানাচ্ছেন বন্দরের আধিকারিকরা। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতে চিনের নয়া আগ্রাসন নীতি ঠেকাতে ভারত-বাংলাদেশের এই মৈত্রী-বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে রাজ্যের শিল্পমহল। বন্দর ও আইওসি সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার আইওসি রিফাইনারি ১৮ কোটি টাকা মূল্যের ন্যাপথা রফতানি করছে বাংলাদেশের অ্যাকোয়া রিফাইনারিকে। ঢাকা থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে নরসিংডি জেলায় শীতলাক্ষ নদীর তীরে ২০ একর জমির উপর আমেরিকান প্রযুক্তিতে গড়ে উঠেছে ওই রিফাইনারি। ওই সংস্থাটি ন্যাচরাল গ্যাস ও ন্যাপথা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০০০ ব্যারেল গ্যাসোলিন, ডিজেল-সহ অন্যান্য পেট্রপণ্য তৈরি করে।
advertisement
আরও পড়ুন- শিনজো আবেকে লক্ষ্য করে গুলি, হাসপাতালে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
প্রোটোকল রুট দিয়ে বার্জটি নারায়ণগঞ্জ বন্দরে পৌঁছবে। সেখান থেকে এই পণ্য যাবে অ্যাকোয়া রিফাইনারিতে। বিদেশ থেকে পেট্রোপণ্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বা মঙ্গলা বন্দর থেকে ওই দেশের উত্তর দিকে নিয়ে যেতে খরচ বেশি হয়। সেজন্য বাংলাদেশের খুলনা সহ উত্তরের জেলাগুলি হলদিয়া বন্দর থেকে নদীপথে বার্জে পণ্য আমদানিতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এর আগেও হলদিয়া ও কলকাতা বন্দর থেকে একাধিক পণ্য জলপথে গিয়েছে বাংলাদেশ। হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগে প্রোটোকল রুটের কার্যকারিতা দিন দিন বাড়ছে।
আরও পড়ুন-কলকাতায় এসে পড়েছিল দীর্ঘদিন, অবশেষে মহড়া দৌড় শুরু চিনা ডালিয়ান রেকের
হলদিয়া বন্দর ও শিল্প সংস্থাগুলির সামনে বাড়তি বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রোটোকল রুট দিয়ে বাংলাদেশ হয়ে অসমের পাণ্ডুতে বার্জে করে স্টিলপণ্য পরিবহণের সূচনা করে এই রুট নিয়মিত ব্যবহারে গুরুত্ব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে এই রুটে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়াতে হলদিয়ায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচে মাল্টিমোডাল হাব ও জেটি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া বন্দরের জেটিও রয়েছে।
প্রোটোকল রুট ও অসমের ব্রহ্মপুত্র নদীতে জাতীয় জলপথ ২টি রুট ব্যবহার করে উত্তর-পূর্ব ভারতের বড় রিফাইনারিগুলিতে ক্রুড অয়েল ও ন্যাপথা পাঠানোর কথা চলছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে প্রতিবছর বাংলাদেশে ৩.৮ মিলিয়ন টন বা ৩৮ লক্ষ মেট্রিক টন পণ্য রফতানি হয়। শুধু হলদিয়া থেকেই ১.৯ মিলিয়ন টন বা ১৯ লক্ষ টন পণ্য রফতানি করা হয়। আইওসি থেকে পেট্রপণ্য রফতানি নিয়মিত শুরু হলে বাংলাদেশে পণ্য রফতানি ৪ মিলিয়ন টন ছাড়িয়ে যাবে, আশা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।