#কলকাতা: লকডাউনের পর এবার দেশে আনলক পর্ব। অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে তালা খোলার পালা। কিন্তু হোটেল-রেস্তোরাঁ-শপিং মলের ঝাঁপ খুললেও, জিমের দরজা এখনও বন্ধ। চূড়ান্ত অনিশ্চয়তায় জিম মালিক ও কর্মীরা। প্রায় তিনমাস হতে চলল কোনও আয় নেই। তবে খরচের খাতা আগের মতই সচল। বেহাল দশায় জিম মালিকরা। বেলঘরিয়া অঞ্চলে এক মাল্টিজিমের কর্ণধার সমুদ্র গুপ্ত জানান, "তিন মাস ধরে বাড়িভাড়া ও বিদ্যুতের বিল বাবদ ১ লাখ টাকা করে দিতে হচ্ছে মাসে। আয় কিছু নেই। কর্মীদের অল্প করে বেতন দিয়েছি। মাসে মাসে লোনের টাকা দিতে হচ্ছে। সব ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে জিমের ক্ষেত্রে সরকারের ভেবে দেখা উচিত। না হলে আমরা এই ব্যবসা থেকে সরে যেতে বাধ্য হব।"
advertisement
এদিকে বাইসেপ, ট্রাইসেপ বানানো হাতগুলিই এখন সাহায্যের আশায় হাত পাতছে। ট্রেনার সৌরভ সরকার জানান, "প্রথম মাসে মাইনে পেয়েছিলাম। তারপর থেকে জিমের কোনও আয় নেই। আমাদেরও বেতন নেই। এই রোজগার থেকেই সংসার চলে। ইতিমধ্যেই সাহায্যের জন্য হাত পেতেছি। ত্রাণের চাল, ডাল নিতে হচ্ছে।" জিমে ঘাম ঝরালে বাড়বে প্রতিরোধ ক্ষমতা। তা দিয়েই ঠেকানো যাবে করোনা। তাই সরকারের উচিত অবিলম্বে জিম খোলা। এমনই মত জিম কর্তৃপক্ষগুলির।
আরেক মাল্টি জিমের কর্ণধার সৌমিক প্রামাণিক জানান, "আমরা ইতিমধ্যেই কী করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জিম করা যায় তার একটা গাইডলাইন করেছি। জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি মাস্ক বাধ্যতামূলক। প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্যানিং হবে। ৪-৫ জন করে একেকটা গ্রুপে ভাগ করে শুরু করা যেতে পারে। প্রয়োজনে সরকার আরও যদি কোনও গাইডলাইন দেয় আমরা সেটাও মানতে তৈরি। তবে অনুরোধ সরকার আমাদের শিল্প নিয়ে একটু ভাবনা-চিন্তা করুক।"
জিমে ঢোকার আগেই থার্মাল স্ক্রিনিং। হাতে স্যানিটাইজার। দূরত্ববিধি মেনে শরীরচর্চা। সংক্রমণ ঠেকাতে কী কী করা হবে, তার একটা তালিকাও তৈরি করার পাশাপাশি ভিডিও তৈরি করে রেখেছে জিম কর্তৃপক্ষগুলি। সরকারকে সেগুলোই তুলে দিতে চান তারা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। ঝাঁপ খুলতে এখন শুধু সরকারকে পাশে পাওয়ার আর্জি।