শুক্রবার কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, “কলকাতা, হাওড়া, ব্যারাকপুর, বিধাননগর কমিশনারেট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে দমকলের গাড়ি যাতে দ্রুত পৌঁছাতে পারে, তার জন্য গ্রিন করিডর চালু করা হবে। পাশাপশি প্রতিটি গাড়িতে সংযোজন হতে চলেছে জিপিএস ট্র্যাকার এবং থাকবে একটি আধুনিক কন্ট্রোল রুম, যা রিয়েল-টাইমে ফায়ার টেন্ডারগুলির দিকে নজর রাখবে।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ ইংরেজিতে ‘S’ দিয়ে শুরু নামের মানুষরা কেমন হন? ভবিষ্যতে এটিই ঘটবে তাঁদের জীবনে, জেনে নিন অবশ্যই
প্রধান উদ্যোগসমূহ:
গ্রিন করিডর: অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর জরুরি পরিস্থিতিতে রাস্তায় দমকল গাড়ির চলাচলে যাতে কোনও বাধা না হয়, পুলিশ আগেভাগেই ট্রাফিক ক্লিয়ার করবে।
জিপিএস ট্র্যাকিং: প্রতিটি দমকল গাড়িতে বসানো হবে জিপিএস ডিভাইস। কোন গাড়ি কোথায় রয়েছে, কোন পথে যাচ্ছে – সব তথ্য থাকবে কন্ট্রোল রুমের কাছে।
একক কন্ট্রোল রুম: দমকল ও পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য গড়ে তোলা হবে একটি অভিন্ন কন্ট্রোল রুম। SOS পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্দেশ যাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগে।
নতুন দমকল কেন্দ্র: ২৫টি নতুন ফায়ার স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে বৈঠক থেকে।
সম্প্রতি কলকাতার খিদিরপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকান পুড়ে যায় এবং মেছুয়ার হোটেলে আগুনে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই এবার সরকারের নজর দ্রুত সাড়া ও প্রযুক্তিনির্ভর সমন্বয় ব্যবস্থার দিকে। এই উদ্যোগ নাগরিক নিরাপত্তায় এক নতুন দিশা দেখাবে বলেই আশাবাদী প্রশাসন। প্রসঙ্গত খিদিরপুর এবং মেছুয়ার ঘটনায় দমকলের দেরিতে পৌঁছানোর অভিযোগ ওঠে। পৌঁছেও সমন্বয়ের সঠিক অভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেকটা বৃদ্ধি পায়। সেই ঘটনাগুলি থেকেই শিক্ষা নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে যাতে তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই কারণেই এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।