রাজ্য সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহাকে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপালই। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহা যোগদানের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব সেই জয়নিং রিপোর্ট রাজ ভবনে পাঠিয়েছিলেন। সেই রিপোর্টই ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল। যার অর্থ, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করলেও ওই পদে রাজীব সিনহার যোগদান বা কাজ চালিয়ে যাওয়ায় অনুমোদন দিলেন না রাজ্যপাল।
advertisement
ঘটনাচক্রে বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মামলার রায় দিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব সিনহার ভূমিকা নিয়েও একরকম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, যদি কমিশনার মনে করেন তিনি হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে পারছেন না, তা হলে পদ থেকে সরে যান। তার বদলে রাজ্যপাল নতুন কমিশনার নিয়োগ করবেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম৷
আরও পড়ুন: ২০১৮ থেকে কতটা কমল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়? অনুব্রত না থাকলেও শীর্ষে সেই বীরভূম
আদালতের এই মন্তব্যের পরই রাজ্যপালের এই কঠোর পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ৷ রাজ ভবনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কমিশনার পদে যোগদান করলেও পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যপাল তলব করার পরেও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাননি রাজীব সিনহা৷ অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, রাজীব সিনহার কাজে ক্ষুব্ধ হয়েই তাঁর জয়নিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল৷
রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তারা স্বীকার করছেন, এর ফলে কমিশনার পদে রাজীব সিনহার থাকা আর আইনি ভাবে বৈধ কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল৷ রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ ভবনের সংঘাতও আও তীব্র হল৷ স্মরণকালের মধ্যে ২০১৫ সালে পুরভোটের আগে আচমকাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সুশান্ত উপাধ্যায়৷ কিন্তু এভাবে কমিশনারের পদ নিয়ে আইনি টানাপোড়েন তৈরি হয়নি৷ পঞ্চায়েত ভোটে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই তৈরি হল বেনজির এক পরিস্থিতি৷