অস্ত্রোপচারে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে ৷ ডাঃ রাহুল জৈনের নেতৃত্বে পাঁচ চিকিৎসকের বিশেষ দলের তত্ত্বাবধানে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর অপারেশন করা হয় ৷ চিকিৎসক দলে ছিলেন আরও ৩ জন ইএনটি সার্জেন ৷ ছিলেন একজন অ্যানেস্থেসিস্ট বিশেষজ্ঞ ৷ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যন্ত্রণা কমাতে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালকে ৷
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ছোট অস্ত্রোপচার, তবে ৩৬ ঘণ্টা বিশেষ ডাক্তারি নজরদারিতে রাখা হবে কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে ৷
advertisement
রবিবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আচমকা নাক থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মিন্টোপার্কের বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল টিম।
যে সব ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে রাজ্যপালের চিকিৎসা চলছে-
- ইন্টারনাল মেডিসিন স্পেশালিস্ট, রাহুল জৈন
- ইএনটি সার্জেন, ড. বি ধানুকা
- ইএনটি সার্জেন, ড. সায়ন গঙ্গোপাধ্যায়
- ইএনটি সার্জেন, ড. অরুণাভ সেনগুপ্ত
- কনসালটান্ট অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট, ড. তাপস চক্রবর্তী
বেলায় ফের রাজ্যপালের নাকে রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ায় কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর নাকে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেয় বেলভিউয়ের চিকিৎসক দল ৷
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রক্তক্ষরণের কারণ জানতে কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে ৷ রাজ্যপালকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷
রবিবার সন্ধে নাগাদ বেলভিউ হাসপাতালের তরফ থেকে দেওয়া মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর বাঁ দিকের রক্তক্ষরণ এখনও বন্ধ হয়নি ৷ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন রাজ্যপাল ৷ করোনারি আর্টারির সমস্যাতেও ভুগছেন তিনি ৷ আর সেই কারণেই দীর্ঘদিন ধরেই অ্যাসপিরিন ওষুধ নিচ্ছিলেন তিনি ৷ সেই কারণেই হয়তো রক্তক্ষরণ বন্ধ হতে দেরি ৷