#কলকাতা: রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রীকে বসার আহ্বান রাজ্যপালের। শুধু তাই নয় মঙ্গলবার রাজভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যপাল দাবি করেন রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি চিন্তিত। তাই মুখ্যমন্ত্রী সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে আলোচনায় যেন আসেন। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আগামী ১৩ ই জানুয়ারি আলোচনায় বসতে চেয়ে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠিও পাঠাচ্ছেন তিনি।
advertisement
মঙ্গলবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তনে যোগ দিতে গিয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে এসেছেন তিনি। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই হয়ে গিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট ও সিন্ডিকেট বৈঠক। সেই বৈঠকে উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে কোন কিছুই জানানো হয়নি রাজভবনকে। শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল তথা আচার্য এখনও পর্যন্ত যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বৈঠক বা সমাবর্তন গুলিতে উপস্থিত থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন সেই বৈঠকগুলি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তাই সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল। তিনি বললেন ‘রাজ্য সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা খাঁচায় পরিণত হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্যারালাইসিস করে দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেউ বা কারোর রিমোট কন্ট্রোলে চলছে শিক্ষাব্যবস্থা। এই বিষয়গুলো তাকে ব্যাথা দিয়েছে ।’
রাজভবনে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করেও তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিচ্ছেন। ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনায় বসার আহ্বান ও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি এদিন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর এই বিষয়গুলোর ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। তাই ওনাকে ১৫ দিনের মধ্যে আলোচনায় ডাকছি।’ তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়,উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান রাজ্যপাল। আগামী ১৩ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় বৈঠকের সময় দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা জানানো হয়েছে । এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ‘বৈঠকের আগে উপাচার্যদের লিখিতভাবে জানাতে হবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কি কি সমস্যা রয়েছে।’ তবে এ প্রসঙ্গে কোন উপাচার্য মন্তব্য করতে চাননি। অবশ্য ওই বৈঠকে উচ্চ শিক্ষা সচিবকেও আসতে বলা হয়েছে।