তবে সাম্প্রতিক কালে যতবারই তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গেছেন ততবারই তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়ে সমাবর্তনে যোগ না দিয়ে তাকে ফিরতে হয়েছিল। আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে ডিলিট এর শংসাপত্র স্বাক্ষর করে ফিরে যেতে হয়েছিল তাকে। যা ঘিরে তিনি বিভিন্ন সময় নিজের ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন।
advertisement
ঘটনার সূত্রপাত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভের পরিস্থিতি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে উদ্ধার করতে যান খোদ রাজ্যপাল। এরপরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গেলে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল।এমনকি কর্মচারীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়ে ক্যাম্পাস ঢুকতে না পেরে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। একই ছবি দেখা যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন কে কেন্দ্র করেও। সমাবর্তন স্থলে রাজ্যপাল হাজির হওয়া মাত্রই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তার জেরে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ না দিয়েই ফিরতে বাধ্য হন। কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন কে কেন্দ্র করে ও বিতর্ক তৈরি হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আচার্য হিসাবে তাকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ আনেন রাজ্যপালই।
সামগ্রিকভাবে দু সপ্তাহ আগে রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক, পরবর্তীকালে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক অনেকেই রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত পর্ব মিটতে চলেছে বলেই আশা করেছিল। তবে এদিনের সমাবর্তনের সামগ্রিক ছবি দেখে অনেকেই রাজ্যপাল রাজ্যের সংঘাতের ইতির আশার আলো দেখছে।
SOMRAJ BANDOPADHYAY