সালটা ২০১৫। নতুন কম্পিউটার কেনেন পারমিতা। তৈরি করেন নিজের ইমেল আইডি। সেই ইমেলেই জানতে পারেন পাঁচশো হাজার পাউন্ড, অর্থাৎ চার কোটি পয়ত্রিশ লাখ টাকা লটারি জিতেছেন তিনি। ব্যাস। আর খবর নেওয়ার প্রয়োজনই বোধ করেননি।
আরবিআই-এর পরিচয় দিয়ে মাইকেল মরিসন নামে একজন নিয়মিত ফোন করতেন পারমিতাকে। ফোন আসত 12676578512 নম্বর থেকে। কখনও এটিএম অ্যাক্টিভেশন চার্জ, কখনও মানি লন্ডারিং সার্টিফিকেট, কখনও আবার ক্যুরিয়ার চার্জ হিসেবে দফায় দফায় টাকা দাবি করা হয় তাঁর কাছ থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন
যোনির অঙ্গছেদ অর্থাৎ খাতনা প্রথা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট
না। তখনও সন্দেহ হয়নি সরকারি চিকিৎসকের। নিজের যা কিছু সম্বল তাই দিয়ে বারো দফায় ১২ লক্ষ টাকা পাঠান মরিসনের কাছে। পরিবার, বন্ধুদের কথা অগ্রাহ্য করে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ব , বেসরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করেন পারমিতা। মঙ্গলবার ভোরে ফের পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে ফোন আসে । তারপরই ফেরে হুঁশ। অবশেষে বারাসত থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন পারমিতা।
লটারির এই ফাঁদ নতুন নয়। এই নিয়ে সচেতনতা প্রচারও রয়েছে। তবু অজ্ঞতা যে রয়েই গেছে, বারাসতের শিক্ষিত সরকারি চিকিৎসকের ঘটনাই তার জ্বলন্ত উদাহরণ।