পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের ৷ মৃতদের তালিকায় নাম রয়েছে শাসক থেকে বিরোধী সব দলের কর্মী-সমর্থকদের ৷ বৃহস্পতিবারই ফল বেরোনর পর মমতা জানিয়েছিলেন, রং বিচার না করেই সরকারের তরফে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। সেইমতোই আজ ঘোষণা।
১৪ মে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারি হিসেব অনুযায়ী প্রাণ হারান ১৪ জন। যার মধ্যে বেশিরভাগই শাসক তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। ভোটের ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নবান্নে এই নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশও করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, নিহতদের পরিবারের পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার একদিনের মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানাল নবান্ন। পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন
বঙ্গ বিভূষণ সম্মান পাচ্ছেন আশা ভোঁসলে
এছাড়াও ভোটের দায়িত্বে বেরিয়ে আর ফেরেননি রায়গঞ্জের বাসিন্দা, পেশায় স্কুল শিক্ষক, বছর আটত্রিশের রাজকুমার রায় ৷ প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে ভোটের কাজ গিয়েছিলেন ইটাহারের সোনাপুর বিদ্যালয়ে। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি ৷ পরে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ ৷ তদন্তকারীদের প্রাথমিক রিপোর্টে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে বলা হলেও তাঁর পরিবারের দাবি রাজকুমার খুন হয়েছেন ৷ মৃত ওই প্রিসাইডিং অফিসারের পরিবারকেও ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার ৷
আরও পড়ুন
ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে অস্ত্র পাচার, গ্রেফতার আরও ১
উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোটে প্রাণহানিতে ক্ষতিপূরণ দেবেন সরকারি আধিকারিকেরা ৷ ২০১৩ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই মানদণ্ড করেই এই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট ৷