দিন দিন শহরে কমে যাচ্ছে ট্যাক্সির সংখ্যা। রাজ্যের পরিবহন দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতার রাস্তায় এখন মোটে সাত হাজার ট্যাক্সি চলছে। কোভিড মহামারি শুরু হওয়ার আগে এই সংখ্যাটা ছিল আঠারো হাজারের কাছাকাছি। এবার তারমধ্যেই বড় কোপ পড়ছে। শহরে যত হলুদ ট্যাক্সি বর্তমানে আছে, তারমধ্যে থেকে অর্ধেকের বেশি হলুদ ট্যাক্সি তুলে নেওয়া হবে। এর মূল কারণ, সেইসব ট্যাক্সি ১৫ বছরের বেশি বয়সী, ফলে দূষণ ছড়াচ্ছে এবং সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সেই সব গাড়ি আর রাস্তায় চলতে পারবে না। রয়েছে ক্রমবর্ধমান রক্ষণাবেক্ষণের খরচ। ২০১৮ সালে শেষ বার হলুদ ট্যাক্সির ভাড়া বেড়েছিল, তার পর পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে, কোভিড পরবর্তী সময়ে সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হলেও হলুদ ট্যাক্সির ভাড়া বাড়েনি।
advertisement
পাশাপাশি, ১৫ বছর বয়সের যে সব ট্যাক্সি বাতিল হয়েছে, তাদের বিকল্প হিসেবে নতুন গাড়ির পারমিট দেওয়ার কথা পরিবহণ দফতরের। কিন্তু সেই পারমিটও দেওয়া হচ্ছে না। ফলে ক্রমশ বাজার দখল করে নিচ্ছে ‘ওলা’, ‘উবের’-এর মতো অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি। আজকের প্রজন্ম অনেক বেশি আরামপ্রিয়। তাদের আর গরমে ঘেমে নেয়ে ‘বুড়ো অ্যাম্বাসাডর’-এ চাপতে মন চায় না। তারা সিডান বা হ্যাচব্যাকের এসিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য। অতঃপর…অবশ্যম্ভাবী পতন…সবকিছুকেই কালের নিয়মে ফুরোতে হয়, এবার ফুরোতে চলেছে ১৯৬২ সালে শহরে শুরু হওয়া একটা যাত্রা!