বাসন্তীদেবী কলেজের সমাজতত্ত্ব বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বন্ধু ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা সভার মূল বিষয়ই ছিল শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যত্ গড়ার চাবিকাঠি৷ ঠিক কোথায় সমস্যা হচ্ছে, অভিভাবকত্বের কোন ফাঁকফোকড়ে অচিরেই একটি শিশুর মন দিনের পর দিন ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে, সবই উঠে এল আলোচনায়৷ সমাজতাত্ত্বিক ও বন্ধু ফাউন্ডেশনের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক বুলা ভদ্রের পরিচালনায় ওই আলোচনা সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ধরা পড়ল৷
advertisement
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার ও সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চট্টোপাধ্যায় চক্রবর্তী৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট অধ্যাপক পিয়ালী শূর, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রাহি ফাউন্ডেশনের সোমা রায়, বিশিষ্ট আইনজীবী সংকর্ষণ রায়, প্রাজক স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থার কর্ণধার দীপ পুরকায়স্থ, সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক চন্দ্রাবলী দত্ত, বিশিষ্ট মনোবিদ চিকিত্সক অমিত চক্রবর্তী, অধ্যাপক সহেলী চৌধুরী প্রমুখ৷
মনোবিদ অমিত চক্রবর্তীর কথায়, 'শিশুদের ভাল ভবিষ্যতের জন্য তাদের মানসিক বিকাশ প্রয়োজন৷ কিন্তু একই সঙ্গে মানসিক বিকাশ প্রয়োজন মা-বাবা বা অভিভাবকদেরও৷' ডিজিটাল দুনিয়ার বাড়বাড়ন্তের কুপ্রভাব বাঁচিয়ে শিশুদের মনের নিরাপদ গতিবিধি বজায় রাখতে কী ভাবে অভিভাবকদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেন বুলা ভদ্র ও সপ্তর্ষি বিশ্বাস৷ একই সঙ্গে শিশুদের যৌন হেনস্থা ও পকসো আইন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন আইনজীবী সংকর্ষণ রায়৷