নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রিসাইডিং অফিসার ও কাউন্টিং সুপারভাইজাররা আগে প্রতিদিন ৩৫০ টাকা করে ভাতা পেতেন, যা এবার বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। পোলিং অফিসারদের ক্ষেত্রে প্রতিদিনের ভাতা ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা। কাউন্টিং অ্যাসিস্ট্যান্টদের জন্যও একইভাবে ২৫০ টাকা থেকে ভাতা বাড়িয়ে ৪৫০ টাকা করা হয়েছে।
advertisement
ইউটিউব থেকে ‘ট্রিক’ শিখে ৩ একর জমিতে করে ফেললেন ‘এই’ চাষ! ঘরে আনছেন লাখ লাখ টাকা! কী ভাবে জানুন
চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরাও উপকৃত হচ্ছেন। সাধারণভাবে যারা ভোটের কাজে যুক্ত থাকবেন, তারা আগে দৈনিক ২০০ টাকা করে পেতেন, এবার সেই ভাতা বেড়ে হয়েছে ৩৫০ টাকা। তবে যাঁরা কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা দেওয়া হবে।
এছাড়াও যাঁরা ভিডিও সার্ভেলেন্স বা মনিটরিং কমিটির দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভোট কর্মীদের খাবার খরচ বাবদও এবার ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে এই খাতে ১৫০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও, এবার তা বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
শুধু ভোটকর্মীরা নন, ভোটের নিরাপত্তা রক্ষায় নিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের ক্ষেত্রেও বাড়ানো হয়েছে ভাতা।
কমান্ড্যান্ট, ডেপুটি কমান্ড্যান্ট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্টরা আগে ১৫ দিনের কাজের জন্য ২৫০০ টাকা করে পেতেন। এখন তাঁরা পাবেন ৪০০০ টাকা। যদি তাঁদের ১৫ দিনের বেশি কাজ করতে হয়, তবে প্রতি সপ্তাহে ২০০০ টাকা করে অতিরিক্ত ভাতা দেওয়া হবে।
ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর র্যাঙ্কের অফিসাররা যদি ১৫ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করেন, তবে পাবেন ৩০০০ টাকা। আর যদি তার বেশি দিন কাজ করেন, তবে প্রতি সপ্তাহে ১৫০০ টাকা করে পাবেন।
কনস্টেবল ও হেড কনস্টেবলরা ১৫ দিনের মধ্যে কাজ করলে পাবেন ২৫০০ টাকা এবং তার বেশি হলে প্রতি সপ্তাহে ১২৫০ টাকা করে দেওয়া হবে।
সেক্টর অফিসার ও সেক্টর পুলিশ অফিসারদের জন্য এবার এককালীন ১০ হাজার টাকা ভাতা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসাররা যদি নির্বাচনী কাজে যুক্ত থাকেন, তবে তাঁদের এক মাসের বেসিক বেতন ভাতা হিসেবে দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ভোটকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে নির্বাচনকে আরও সুষ্ঠু ও কর্মী-বান্ধব করে তুলতেই এই অর্থনৈতিক পদক্ষেপ বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।