১৯৯২ সালে এই সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। সেই অর্থে দেখতে গেলে ৩০ বছর পরে এসে এই সেতুর জিওমেট্রিক সার্ভে করতে চলেছে দায়িত্ব প্রাপ্ত সংস্থা এইচ আর বি সি। সেই কাজই রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। সেতু বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যে কোনও সেতু দিয়ে যদি টানা ২৫ বছর যান চলাচল করে তা হলে তার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। আধুনিক এই কেবল স্টেয়ড ব্রিজের সেই পরীক্ষাই করা হতে পারে তার আগে এই জিওমেট্রিক সার্ভে করা হচ্ছে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু দুটি টাওয়ার থেকে যে সব কেবল নেমে এসেছে তার দ্বারা ঝুলে আছে। ঝুলন্ত এই সেতুর হোল্ডিং ডাউন কেবল, স্টে ডাউন কেবল, ডেক স্ল্যাব ও টাওয়ারের অবস্থা এখন ঠিক কি রকম রয়েছে তা দেখে নিতে চান দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। তাই জিওমেট্রিক সার্ভে করা হচ্ছে। বিদ্যাসাগর সেতুর দু'দিকেই আছে দুটি বড় টাওয়ার। যার সাথে যুক্ত আছে একাধিক কেবল। কেবলের একপ্রান্ত টাওয়ারের সাথে জোড়া, অন্য প্রান্ত রয়েছে সেতুর ডেকের সাথে আটকানো। সেতুর উপরের অংশে আছে 'স্টে কেবল', যা সেতুটিকে ঝুলে থাকতে সাহায্য করে। সেতুর ডেকের নিচের দিকে থাকা হোল্ডিং ডাউন কেবল সেতুর স্থিরতা ধরে রাখতে সাহায্য করে৷ মোটা মোটা যে কেবল দেখা যায় তার মধ্যে একাধিক কেবল রয়েছে যা সেতুটিকে টেনে ধরে রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
ফলে তার ভেতরের কেবলের কি অবস্থা সেগুলিও নমুনা হিসাবে সংগ্রহ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে প্রচুর যান বাহন যাতায়াত করে। হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে অন্যতম সংযোগকারী এই সেতুর ওপর দিয়ে বহু পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে। ফলে সেতুর ভার বহনের ক্ষমতা কতটা রয়েছে সেটাও একেবারে জেনে নিতে চাইছে রাজ্য।
ABIR GHOSHAL