ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমান সময়ে কতটা প্রাসঙ্গিক এই চুক্তি? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। 'নিউজ 18 বাংলা'র মুখোমুখি হয়ে ভারতের প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী বলেন, 'অত্যন্ত সময়োপযোগী এই প্রতিরক্ষা চুক্তি। যখন ভারতকে শত্রু ঘিরে রেখেছে।একদিকে পাকিস্তান আর অন্যদিকে চিন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তির ফলে ভারতের সামরিক ক্ষমতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে। শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই আরও গতি পাবে।'
advertisement
জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী জানান, এই বিপুল পরিমাণ প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে ভারত যেমন উপকৃত হবে তেমনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও উপার্জন করবে। তবে প্রাক্তন সেনাপ্রধানের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে একসময় শোনা গিয়েছিল 'মেক ইন ইন্ডিয়া'র কথা। চুক্তির ফলে তা আর হল কই ? তাই আমি মনে করি আসল সমাধানের সময় এখনও আসেনি।
প্রাক্তন সেনাপ্রধানের কথায়, 'যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক সরঞ্জাম আমাদের দেশে পরিকল্পনা ও পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটিয়ে বানানো উচিত। পরের ওপর ভরসা করলে আমদানিকৃত সামগ্রীর দাম অনেক বেশি পড়ে।'
আক্রমণ শানানোর বিশেষ হেলিকপ্টার অ্যাপাচে সম্পর্কে প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরী জানান, এই বিমানে গ্যাটলিন গান আছে। সহজ ভাষায় যাকে মেশিনগান না বলে মেশিন কামান বলা ভাল। এই কামানের বিশেষত্ব হল, এতে অনেকগুলি ব্যারেল থাকে। ৬টি ব্যারেল ক্রমাগত ঘুরে যায়। একটার পর একটা গুলি বের হতে থাকে। ফায়ারিং বা গুলি করার ক্ষমতা অন্যের থেকে বেশ কয়েক গুণ বেশি ।মূলত এই বিমান আকাশপথ থেকে শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। রোমিও সাবমেরিন ধ্বংসে পারদর্শী। আর এই অ্যাপাচে ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী হিসেবে বিশেষ পারদর্শী।'
সব মিলিয়ে অ্যাপাচে, রোমিও হেলিকপ্টার-সহ অত্যাধুনিক যুদ্ধের সরঞ্জাম সংক্রান্ত ভারত-মার্কিন দুই দেশের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ভারত শত্রুপক্ষকে কাহিল করার বিষয়ে অনেকটাই শক্তি সঞ্চয় করল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
VENKATESWAR LAHIRI