এক সময় টালির বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন আমির খানরা৷ বন্দরে ট্রাক থেকে মাল ওঠানো নামানোর কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নাসির খান৷ নাসিরের ছেলে আমির কাজ করত কল সেন্টারে৷ অথচ সেই পরিবারের আর্থিক অবস্থাই বদলে যেতে শুরু করে ২০১১ সাল থেকে৷ যদিও সেই ভাগ্য বদলের পিছনে যে কোটি কোটি টাকার খেলা রয়েছে, তা অবশ্য বুঝতে পারেননি গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল এলাকার বাসিন্দারা৷ কারণ নিতান্ত ছাপোষা দোতলার বাড়ির মধ্যে যে কোটি কোটি টাকা মজুত করা রয়েছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তারা৷
advertisement
আরও পড়ুন: সেই গার্ডেনরিচেই তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের রহস্যমৃত্যু! শনিবার রাতে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাত্র কয়েক বছর আগেও গার্ডেনরিচ এলাকার অ্যাজবেস্টস মোড়ে টালির বাড়িতে ভাড়া থাকত নাসির খানের পরিবার৷ ২০১১ সালে নিজের একটি ট্রাক কিনে ব্যবসা শুরু করেন নাসির৷ সেই সময় কল সেন্টারেই কাজ করত নাসির পুত্র আমির৷ সেই সময় থেকেই নাসির খান এবং তাঁর পরিবারের অবস্থায় আমুল বদল আসে।
আরও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে ওয়ার রুম, থাকবেন সেনাপতি বনসল, নবান্ন অভিযানে বিজেপির গোপন পরিকল্পনা
২০১১ সালেই অ্যাজবেস্টস মোড় থেকে নাসির খানরা গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল এলাকার অপরিসর গলির মধ্যে অবস্থিত একটি দোতলা বাড়িতে চলে আসে৷ যদিও বাইরে থেকে সেই বাড়ি ছিল নিতান্তই সাদামাটা৷ ফলে কখনওই খান পরিবারকে নিয়ে বিশেষ সন্দেহ দানা বাঁধেনি প্রতিবেশীদের মনে৷ কিন্তু সব ধারনা বদলে যায় শনিবার। ইডির হানায় সেই বাড়ি থেকেই বেরিয়ে আসে প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা।