পুণ্যস্নান উপলক্ষে মেলাতে বুজরুকির সংখ্যাও কম নয়। শুরু হয়ে গেছে বুজরুকির ব্যবসা। গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে বেশ চড়া দামে বিক্রি হয় রুদ্রাক্ষ। রুদ্রাক্ষের মতো দেখতে জিনিসপত্র, মালা থেকে শুরু করে ঠাকুরের মূর্তি। এগুলো বিক্রি করতে চলে আসে ভিন রাজ্য থেকে বিভিন্ন দোকানদারেরা। বেশ মজার, ওদের দাবী বিভিন্ন গাছ থেকে রুদ্রাক্ষ বিভিন্ন আকারের হয়। সেগুলো ধারণ করলে নাকি মানুষের মঙ্গল হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- থানার বাইরে অস্থায়ী ক্যাম্প!অভিযোগ জানানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে,করোনার জন্য ব্যবস্থা
বিশ্বাসে প্রচুর মানুষ কিনে নিয়ে যায় রুদ্রাক্ষের মালা থেকে আরম্ভ করে নানা ভক্তির জিনিস। তবে দামটাও খুব একটা কম না। বাবুঘাট মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেল, এক মহিলা আটা মেখে ছাঁচ তৈরি করে শুকনো করে, সেটাকে লাল রং করে শুকোতে দিচ্ছেন। তাঁকে প্রথমটা জিজ্ঞেস করতে বলেন, ওটি রুদ্রাক্ষ। কিন্তু দেখে সন্দেহ হওয়ার পরে স্বীকার করে নেন। বলেন, পেটের জ্বালায় ওরকম করছে।
মেলায় গিয়ে দেখা গেল, এক সাধুবাবা ঝাঁটা মাথায় মারছেন। সবাই মাথা নামিয়ে সেই ঝাঁটার আঘাত গ্রহণ করছেন। কোথাও আবার সাধু বাবা মস্তিষ্ক চঞ্চল এবং চাকরি হওয়ার জন্য কবজ বিক্রি করছেন। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অছিলায় এই ব্যবসা চলছে। এই মেলায় রোজগারের জায়গা তৈরি হয়। এবারও তাই। যতদিন নিয়তিবাদে বিশ্বাসী থাকবে মানুষ, ততদিন এই বুজরুকি চলতেই থাকবে।
আরও পড়ুন- সোমবার থেকেই আশাতীত বদল বাংলার আবহাওয়ায়! উত্তর থেকে দক্ষিণ, যা হতে চলেছে...
মেলায় ঢোকার মুখে পুলিশ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, 'পকেটমার হইতে সাবধান।' বাবুঘাটের মেলায় কোথাও জ্বরে শুয়ে রয়েছে বাবা। আবার কোথাও এক সঙ্গে জোট বেঁধে সাধুরা বসে রয়েছে মাস্ক ছাড়া। তবে এই মেলা যে শুরু থেকে ব্যবসার মেলা। সেটা কিন্তু অনেকেই জানেন। ঠাকুর দেবতার দোহাই দিয়ে বুজরুকি, লোক ঠকানো বেশ রমরমা মেলা প্রাঙ্গণে।