এত ভিড় তার সঙ্গে বিক্রি বাট্টা হওয়ার কারণ মূলত তিনটে। প্রথম, দোকানের মালিক দীনেশের ব্যবহার। চা, বিস্কুট যাই কিনুন না কেন প্রচণ্ড গরমে গলদঘর্ম হয়েও ক্রেতাদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেন দীনেশ বাবু। দ্বিতীয়, প্রায় দশ রকমের চা বিক্রি করেন দীনেশ বাবু। আর তিন নম্বরটা সবথেকে আকর্ষনীয়। বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষজন, পুলিশকর্মী, ভারতের বীরযোদ্ধাদের জন্য বিনামূল্যে চা দিয়ে থাকেন তিনি।
advertisement
দোকানের নাম ডিএনএ দিয়েছেন কেন জানতে চাওয়ায় মালিক দীনেশ ঘোষ জানালেন, 'বাবা, মা আর আমার নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে দোকানের নাম রেখেছি। ছোটবেলা থেকে বাবা মাকে প্রচুর লড়াই করতে দেখেছি। সেই কারণে তাঁদের এই সম্মান দেওয়া।
হাসপাতালের পাশে দোকান হওয়ায় সারাক্ষণই স্বাস্থ্যকর্মীদের ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু, তাঁদের থেকে এক পয়সাও চায়ের দাম নেন না দীনেশ। জানালেন, 'ছোটবেলা থেকে মাকে দেখেছি দুঃস্থ এবং অসহায় মানুষদের জন্য অনেক কিছু করতে। সংসারের দায়িত্ব সামলে মা কোনও সময় দুঃস্থ বাচ্চাদের খাওয়াতেন, অসহায় মানুষদের জামা কাপড় দান করতেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বের গল্প শুনেছি মায়ের মুখে। দোকান খোলার সময় সেই ভাবনা থেকেই এই সমস্ত অফার রেখেছি।'
কলেজ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন দীনেশ বাবু। চায়ের দোকান খোলার আগে কাজ করেছেন বিভিন্ন জায়গায়। তন্দুর চা, কেশর চা, চকলেট চা, কাজু বাদাম চা থেকে শুরু করে দোকানের মেনুতে রয়েছে প্রায় ছয় ধরনের কফি। জানা গেল, এর আগে কাজের সূত্রে দিল্লিতে ছিলেন। সেখান থেকেই শিখেছেন রকমারি চা বানানো। দোকানের সঙ্গে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে চায়ের ওপর রয়েছে ৫০ শতাংশ ছাড়।
আরও পড়ুনঃ Kuntal Ghosh: জোর করে, ভয় দেখিয়ে নেতাদের নাম বলানোর চেষ্টা করছে এজেন্সি, বিস্ফোরক কুন্তল
তাছাড়াও অভিনব এক প্রতিযোগিতার কথা লিখেছেন তিনি। ৩০ মিনিটে যদি কেউ ৩০ কাপ চা খেতে পারেন তাহলে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন দীনেশ বাবু। আজ পর্যন্ত কেউ কি এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছে? উত্তর এল, 'একজন একবার ২০ কাপ চা খেয়েছিলেন। আর কেউ চ্যালেঞ্জ নেয়নি এখনও।' তবে ডি এন এ চা ইতিমধ্যেই মন জয় করে নিয়েছে সকলের।