গামা রশ্মি দিয়ে ক্যানসার কোষের ডিএনএ-কে টার্গেট করে ধ্বংস করা হয়। বিশেষত, মস্তিষ্কের গভীরে অবস্থিত টিউমার অপারেশন ছাড়াই এই পদ্ধতিতে ধ্বংস করা সম্ভব। চিকিৎসা ক্ষেত্রের এই নতুন দিগন্ত খুলে যাচ্ছে বাংলার সরকারি স্নায়ু চিকিৎসা পরিকাঠামোতে।
ফ্রিজে রাখা ডিম কতদিনের মধ্যে খাওয়া উচিত? ডিমের ‘এক্সপায়ারি ডেট’ পেরিয়ে গেলে কী হয়…? জানলে চমকাবেন
advertisement
২৪ ঘণ্টা ‘ফ্রিজ’ চলছে? না জেনেই ডাকছেন বিপদ…! সপ্তাহে ক’বার, কতক্ষণ বন্ধ রাখা উচিত?
এ বছর ‘অস্বাভাবিক’ বর্ষা! কেন জানেন? গরমকাল শেষ না হতেই চমক…কবে বর্ষা আসছে বাংলায়? জানিয়ে দিল IMD
এই পরিষেবার সূচনা হচ্ছে মল্লিকবাজারের ‘ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সায়েন্স’-এ, যেটি এ বছর পয়লা বৈশাখে ১৬ বছরে পা দিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, “ত্রিশ বছর আগেও মস্তিষ্কের জটিল রোগ মানেই মৃত্যু নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া হত। কিন্তু এখন সেই ছবি বদলেছে। এখন বাংলাতেই মিলছে বিশ্বমানের স্নায়ু চিকিৎসা।”
রাজ্যে প্রতি বছর প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, যার অন্যতম কারণ প্রক্রিয়াজাত খাবার ও উচ্চমাত্রার নুন। আগে এই রোগীরা চিকিৎসা পেতেন না, এখন প্রান্তিক এলাকাতেও পৌঁছেছে স্নায়ু চিকিৎসা।
চিকিৎসার চাহিদা বাড়ায় এন্টালি কনভেন্ট রোডে ২০০ বেডের একটি নতুন স্নায়ু হাসপাতাল গড়ছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, উত্তর ২৪ পরগণার ৮০ একর জমির উপর গড়ে উঠছে ‘স্নায়ুতীর্থ’ — নতুন ক্যাম্পাস এবং ৬০৫ বেডের হাসপাতাল ও ১৫০ আসনের মেডিকেল কলেজ। থাকছে জৈব গবেষণা কেন্দ্র এবং স্পোর্টস মেডিসিন গবেষণার সুযোগও।
‘ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সায়েন্স’-এর কর্ণধার আরপি সেনগুপ্ত জানান, এই নতুন পরিকাঠামোতেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সমস্ত সুবিধা পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডার পেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস, এবং নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী শাস্ত্রজ্ঞানানন্দ মহারাজ।