শনিবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ২০১৪, ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ ছিল। সেই কারণে দক্ষিণ দিনাজপুরের ৪৫০ জনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকেছিল পর্ষদ। প্রীতম ঘোষ নামে এক ব্যক্তি ইন্টারভিউয়ের কললেটার এনে দাবি করেন, তাঁর কাছে বৈধ কাগজ রয়েছে,কিন্তু তালিকায় তার নাম নেই, এটা কী করে হল? পরে ফাঁস হয় রহস্য।
আরও পড়ুন: 'ভোটের পর উধাও' বিধায়ক গ্রামে গেলেন 'দিদির দূত' হয়ে, ঢুকতেই বাঁধল গোল! চরম কাণ্ড
advertisement
পুলিশ প্রীতম ও তাঁর সঙ্গে আসা মেসোমশাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রীতমের বাড়ির এলাকায় কাকা নামে একজন পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই জাল কাগজ করিয়ে দিয়েছে। সেই কাকার সঙ্গে চুক্তি ছিল,পর্ষদের ইন্টারভিউয়ের তালিকায় নাম দেখেই পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে। প্রীতম ধরা পড়ার পরে,পুলিশ সেই টোপ দিয়ে প্রীতমের ফোন থেকে ফোন করে বিষ্ণু মাহাতো ওরফে কাকা ওরফে। বিষ্ণু টাকা নিতে আসতেই গ্রেফতার হয় পুলিশের হাতে।
আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের টাকায় 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্প! ফের বড় দুর্নীতির 'হদিশ' শুভেন্দু অধিকারীর
প্রশ্ন উঠছে, ইন্টারভিউ তালিকায় নাম দেখার পরেই প্রীতমের কাছ থেকে বিষ্ণু টাকা নেবে বলেছিল। পুলিশ প্রীতমকে দিয়ে বিষ্ণুকে ফোন করানোর সঙ্গে সঙ্গে বিষ্ণু টাকা নেওয়ার জন্য চলে আসে। কিন্তু প্রশ্ন,বিষ্ণু কি জানতই না যে তালিকায় প্রীতমের নাম উঠবে, নাকি, প্রীতমের নাম তালিকায় তুলে দেওয়ার জন্য কেউ আশ্বাস দিয়েছিল?ইন্টারভিউ দিতে আসা বিভিন্ন প্রার্থীর মুখে একটাই প্রশ্ন উঠছিল বারবার, তবে কি এখনও পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে ঘুঘুর বাসা রয়ে গিয়েছে?