গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শেক্সপিয়ার সরণি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এই বেআইনি কল সেন্টার চলছিল। কীভাবে চলত কারবার? কখনও ফোন করে জিজ্ঞাসা করা হত জমি আছে কি না? জমির মালিক হলে ওই জমিতে মোবাইলের টাওয়ার বসিয়ে বিপুল পরিমান টাকার টোপ দেওয়া হত। এই ভাবে দফায় দফায় ফোন করে কখনও রেজিস্ট্রেশন, কখনও অন্য কোনও অজুহাতে প্রতারিতদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিত বলে অভিযোগ। আবার কখনও কখনও ঘুরতে যাওয়ার জন্য ট্যুর প্যাকেজের নাম করেও টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে শহরের বুকে, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এই কল সেন্টার গুলি কীভাবে চলছে? কত দিন ধরে এই প্রতারণা চক্র চলছিল?
advertisement
আরও পড়ুন Bowbazar| Durga Pithuri Lane: ফাটলের জন্য বাড়ি ছাড়া, পেট চালাতে বন্ধ করলেন না তেলেভাজার দোকান
কিছু দিন আগে মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে ৩৯ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগে শহর জুড়ে তল্লাশি চালায় সিআইডি। লালবাজারে ঢিল ছোড়া দূরত্বতে আর এন মুখার্জী রোড, পার্ক স্ট্রিট সহ মোট পাঁচটি কল সেন্টারে অভিযান চালায় সিআইডির সাইবার ক্রাইম আধিকারিকরা ও পুরুলিয়া সিআইডি ডিডি ডিপার্টমেন্টর আধিকারিকরা। ঘটনায় মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
সিআইডি সূত্রে খবর, পুরুলিয়ার কেন্দাতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, বাড়িতে মোবাইলের টাওয়ার বসানো নাম করে ৩৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। একাধিক নম্বর থেকে প্রতারিতকে ফোন করা হয়েছিল। সিআইডি ও পুরুলিয়া ডিডি যৌথ উদ্যোগে তল্লাশি চালায় পার্কস্ট্রিট ও লালবাজারের কাছে আর এন মুখার্জী রোডে। উদ্ধার হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা, মোবাইল, ল্যাপটপ, বিভিন্ন নথি। সল্টলেক, পার্কস্ট্রিট, শেক্সপিয়ার সরণিতে একাধিক জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেআইনি কল সেন্টার বলেই দাবি গোয়েন্দাদের।
ARPITA HAZRA