পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে গুন্ডা দমন শাখার কনস্টেবল ছিলেন রবি মুর্মু। ২০১১ সালে চাকরি থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ ছিল। ধৃত মাসুদ রানা নিজেকে ডিএসপি বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। পুলিশ সুত্রে খবর, ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল নথি, জাল নিয়োগপত্র, টুপি, বেল্ট ও ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। ধৃত মাসুদ মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। রবি ও শুভ্র যথাক্রমে মালদহ ও গাইঘাটা এবং পরিতোষ পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা।
advertisement
কিন্তু কীভাবে প্রতারণা করতেন এই ধৃতেরা? ঘটনার সূত্রপাত প্রায় মাস খানেক আগে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মাসুদ রানা ও তার দলবল চাকরির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এরকম চাকরিপ্রার্থীদের টার্গেট করতো | চাকরিপ্রার্থী সমরেশ মাহাতো ও তাঁর বন্ধুদের রাজ্য পুলিশ হোম গার্ডে চাকরি করে দেবে বলে আশ্বাস দেন তারা। সেই জন্য কারও থেকে ৬ লক্ষ, কারও থেকে ৭ লক্ষ টাকা নেন। এভাবে ৩৫ লক্ষ টাকা তারা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ।
এরপরে গত ২৯ জুন এই চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে চলে আসেন চাঁদনী চকের একটি গেস্ট হাউসে। তারপর সেখানে চাকরি প্রার্থীদের টুপি, বেল্ট, জাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ইত্যাদি দেন। কিন্তু কিছু দিন থাকার পরে চাকরি প্রার্থীরা দেখেন, হোটেলে খাবার পাচ্ছেন না। টাকা বাকি থেকে যাচ্ছে। এদিকে চাকরিতে যোগ দেওয়ার তারিখও চলে যাচ্ছে। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা অভিযোগ করেন বৌবাজার থানায়। এরপর গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকরা এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেন।
কিন্তু এই চাকরি আবেদনকারীদের সঙ্গে অভিযুক্তদের কী ভাবে পরিচয় হল? গোয়েন্দাদের দাবি, পরিতোষ ও সমরেশ পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। এই পরিতোষই সমরেশের সঙ্গে পরিচয় করায় বাকিদের। পরিতোষ জানান, তার চেনা জানা অফিসার আছে, যিনি হোম গার্ডের চাকরি পাইয়ে দেবেন। এরপর একে একে ডিএসপি ভুয়ো পরিচয় দেন মাসুদ রানা, রবি মুর্মু, শুভ্র নাগ। এরা দাবি করেন, একাধিক বড় আধিকারিকদের সঙ্গে তাদের চেনা জানা আছে।
রবি যেহেতু এক সময় কলকাতা পুলিশে গুন্ডা দমন শাখার কনস্টেবল ছিলেন, তিনি পুলিশের আদব কায়দা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। গোয়েন্দাদের দাবি এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে |
ARPITA HAZRA