শুধুমাত্র নির্বাচন নয়। সারা বছর ধরেই এই চ্যানেল সক্রিয় রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। দলের নেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বলেন, 'নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে নানা মুনি নানা মত। কেউ বলছে গুমনামি বাবা। কেউ বলছে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। যে যেরকম ভাবে পারছে তাঁর সম্পর্কে বলে চলেছে। এর ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এই চ্যানেল হলে দলের পক্ষ থেকে যুক্তি এবং তথ্য দিয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করা যাবে। বিজেপি নেতৃত্ব মাঝে মাঝে যেভাবে নেতাজির প্রসঙ্গ টেনে মানুষকে বিভ্রান্ত করে থাকেন এই চ্যানেলের মাধ্যমে আসল তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা যাবে। আসলে নেতাজি ওদের কতটা বিরোধী ছিলেন।' এছাড়ারও দলের কর্মসূচি। কর্মী সমর্থকদের বার্তা দেওয়ার কাজেও এই চ্যানেল বড় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা দলীয় নেতৃত্বের।
advertisement
শুধুমাত্র সাবেকি মিডিয়ার ভরসায় না থেকে সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রচারের কাজে ব্যবহার করাতে এখন অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ রাজনৈতিক দলগুলি। বেশকয়েকটি রাজনৈতিক দল রীতিমতো পেশাদার কর্মী নিয়োগ করে অথবা কোনও সংস্থাকে দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে।প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি নেতাদেরও ব্যক্তিগত এখন একাধিক সামাজিক মাধ্যম রয়েছে। ফেসবুক, ট্যুইটার, ইউটিউব এর মতন সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁরা নিজেদের বক্তব্যও পেশ করে থাকেন। রাজ্যে বিজেপি, তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএম ও বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে কাজ করে চলেছে। এবার ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়ার উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের মতে, 'সস্তায় পুষ্টিকর এই মাধ্যম দলের পাশাশাশি সাধারণ মানুষেরও অনেক কাজে লাগবে।'
UJJAL ROY