ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, কলকাতায় ইতিমধ্যেই একটি টিকাকরণ ক্যাম্প করা হয়েছে। বর্ধমানে ফোরামের উদ্যোগে জেলার পুজো কমিটিগুলোর জন্য টিকাকরণ করা হয়েছে। পুজোর সঙ্গে যুক্ত সকলকে টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ করতে আরও ক্যাম্প করা হবে ভবিষ্যতে। খুব শীঘ্রই দমদম পার্ক এবং উত্তর কলকাতাতেও পুজোর সঙ্গে যুক্তদের জন্য বিশেষ টিকাকরণ ক্যাম্প করা হবে।
advertisement
ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের ১৪ দফা গাইডলাইন:
*পুজোর সঙ্গে যুক্ত কমিটির কর্মকর্তা থেকে ঢাকি পুরোহিত সকলের টিকাকরণ।
*মাস্ক স্যানিটাইজার ও শারীরিক দূরত্ব বিধিতে জোর।
*পুজোর জৌলুস কমিয়ে জনহিতকর কাজের উদ্যোগ।
*খোলামেলা মন্ডপ। বাইরে থেকে প্রতিমা এবং মণ্ডপ দর্শনের সুযোগ।
*পূজার নৈবেদ্য থেকে বিসর্জন সবেতেই কোভিড বিধি মেনে ব্যবস্থা।
*সন্ধিপুজো সিঁদুর খেলায় রাখতে হবে শারীরিক দূরত্ব।
*কাটা ফল নয় গোটা ফলেই নৈবদ্য সাজাতে হবে।
*প্রশাসনের সঙ্গে মিলে স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপর হতে হবে। মণ্ডপে যাতে কোনওভাবেই ভীড় না হয় তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে।
সামনেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। জীবনের দোলাচলে যখন সবাই, তখন জীবিকার প্রশ্নেও অনেক জীবনহানি ঘটছে। কলকাতার দূর্গাপুজার সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে অর্থনীতি। জীবন আর জীবিকার মেলবন্ধন ঘটাতে দুর্গাপুজোকেই হাতিয়ার করছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।
ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, কলকাতার দুর্গাপুজোর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকা অর্থনীতি জড়িয়ে। একদিকে করোনার জন্য লকডাউন, তাতে অর্থনীতি বিপর্যস্ত, অন্যদিকে আমফান আর ইয়াসেও ক্ষতি মানুষের জীবন জর্জরিত করে তুলেছে। পুজোর বাজার অর্থনীতির দিকে আশার আলো দেখাচ্ছে পুজো কমিটিগুলিকে। শাশ্বত বসু আরও বলেন, পরোক্ষভাবে প্রায় দেড় লক্ষ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয় কলকাতার দুর্গোৎসবকে ঘিরে।
কলকাতা পুজো কমিটিগুলির মধ্যে অন্যতম দক্ষিণের বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত শহরের অন্যতম চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু। পুজোর সঙ্গে যুক্ত সকলকে টিকাকরণের মাধ্যমে উৎসবে শামিল করার পক্ষে তিনিও। সরকারের সহযোগিতায় ফোরামের এই উদ্যোগকে তিনি অন্যতম একটি পজিটিভ দিক বলেই মনে করেন। আপাতত তাই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা সরিয়ে এই আশার আলোকেই শারদীয়ার স্বপ্ন দেখছেন কলকাতার পুজো পাগলরা।