মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর দেহ রাখা হবে। তারপর ১১টা ৩০ মিনিট- থেকে ১২ টা পর্যন্ত বিধান সভায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে তাঁর মৃতদেহ উত্তর দিনাজপুর চাকুলিয়াতে নিয়ে যাওয়া হবে। ৩০ নভেম্বর তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা আলি ইমরান রামজ। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
advertisement
আরও পড়ুন: কালীপুজোয় বাজি ফাটানো নিয়ে সাবধান হোন, উদ্বোধনে গিয়ে বার বার সতর্কবার্তা মমতার
হাফিজ আলম সৈরানি ১৯৯৪ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর বিধানসভা থেকে প্রথম বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজ্য বিধানসভার সদস্য ছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারে ত্রাণ এবং পাশাপাশি সমবায় মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি
হাফিজ আলম সৈরানির রাজনৈতিক পথ চলা শুরু হয়েছিল ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে। তাঁর দাদা রমজান আলি ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর কেন্দ্রের বিধায়ক। রমজানের মৃত্যুর পর ওই আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন তিনি। ২০০৬ সালে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাসমুন্সির কাছে পরাজিত হন তিনি। পরবর্তী সময়ে হাফিজের ভাইপো আলি ইমরান রামজের হাত ধরে ফের ওই আসনটি পুনরুদ্ধার করে ফরওয়ার্ড ব্লক৷ দলীয় নেতৃত্বের সাথে মতানৈক্য হওয়ায় ২০২২ সালে আলি ইমরান রামজ এবং বেশ কয়েকজন নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন হাফিজ আলম সৈরানি।
প্রদেশ কংগ্রেস সহ-সভাপতি পদে নিযুক্তও করা হয়েছিল হাফিজকে। সোমবার হাফিজের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তিনি জানান, ‘সংসদীয় রাজনীতির আঙিনায় এবং প্রগতিশীল কর্মধারার ক্ষেত্রে প্রয়াত হাফিজ আলি সৈরানির ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’’