কলকাতারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিশ্বনাথ চৌধুরীর ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল৷ কিন্তু ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ টানা সম্ভব হচ্ছিল না তাঁর পরিবারের পক্ষে৷ এই খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগে বিশ্বনাথবাবুকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন৷ গত ১৬ জুলাই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷
বিশ্বনাথ চৌধুরীর প্রয়াণের খবর পেয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরীর প্রয়াণে আমি দু:খিত। উনি আমার বিরোধী রাজনীতি করলেও, আমাদের সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। ওঁনার অসুস্থতার খবর পেয়ে আমরা ওঁনাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু কোনও প্রচেষ্টাই কাজে এল না।এই দু:খের দিনে আমি ওঁনার পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীদের আমার আন্তরিক সহমর্মিতা জানাই।প্রাক্তন মন্ত্রীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ রাজ্য সরকারী যে যে অফিস, কর্পোরেশন ইত্যাদি খোলা ররেছে সেখানে অর্ধদিবস ছুটি থাকবে।’
আরও পড়ুন: বয়কট করল বিরোধী শিবির, তিনি কেন নীতি আয়োগের বৈঠকে? দিল্লিতে জবাব দিলেন মমতা
১৯৭৭ সালে বালুরঘাট থেকে আরএসপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হন বিশ্বনাথ চৌধুরী৷ এর পর ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ছ বার ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি৷ ২০১১ সালে তৃণমূলের শঙ্কর চক্রবর্তীর কাছে পরাজিত হন বিশ্বনাথবাবু৷ যদিও ২০১৬ সালে ফের বালুরঘাট থেকে জয় পান তিনি৷ সবমিলিয়ে ৭ বার বালুরঘাট থেকে আরএসপির বিধায়ক নির্বাচিত হন বিশ্বনাথ চৌধুরী৷ মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব সামলান টানা ২৪ বছর৷
১৯৮৭ সালে প্রথমবার মন্ত্রী হন বিশ্বনাথ চৌধুরী৷ ২০১১ সাল পর্যন্ত মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব সামলান তিনি৷ প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রীর দেহ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বালুরঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে৷ সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে৷