দক্ষিণবঙ্গে চলছে বৃষ্টির স্পেল। নিম্নচাপের পরোক্ষ প্রভাবে মেঘলা আকাশ, সঙ্গে বৃষ্টি। দিনে তো বটেই, রাতেও দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে শহরে। হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টিপাতে জলও জমছে। শহরের কিছু এলাকায় অল্প সময়ের জন্য মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের আগে শক্তিশালী হল এনডিএ, অস্তিত্ব রক্ষায় বিজেপি-র হাত ধরল জেডিএস
advertisement
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি। শুক্রবার সকালের মুষলধারে বৃষ্টিতে জলে ভাসল মুকুন্দপুর, নয়াবাঁধ, পঞ্চসায়র সহ বাইপাস লাগোয়া বেশ কয়েকটি অঞ্চল। একটানা বৃষ্টির জেরে ওই অঞ্চলের বিভিন্ন বড় রাস্তা এবং অলিগলিতে হাঁটু জল জমে যায়। প্রাক্তন মেয়রের বাড়িতেও জল ঢুকে যায়। বাড়ির একতলা জল থৈ থৈ হয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হলে জল জমবেই। দুপুরের পর জল নেমে গিয়েছে।
কলকাতা পুরসভার সূত্রে খবর, কেইআইআইপি প্রজেক্টে ইতিমধ্যেই কাজ চলছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদারের উপস্থিতিতে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের কাজ। চলছে ভূগর্ভস্থ নিকাশী নালার কাজ। সেই কাজ শেষ হলে অবশ্য বাইপাস সংলগ্ন কলকাতা পুরসভার এই ওয়ার্ডের জমা জলের সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।
বিকাশবাবুর বাড়ি অথবা সামনের রাস্তা থেকে জল নেমে গেলেও বিভিন্ন গলি পথে জলমগ্ন ছিল দীর্ঘক্ষণ। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘উনি যখন ওখানে জমি কিনেছিলেন, তখনও ওই এলাকা জলের তলায় থাকত। বাড়ি তৈরির সময়ও ওনার এই জল জমা নিয়ে সমস্যা হয়েছে। তবে আগের থেকে পরিস্থিতি ভাল। ওই অঞ্চলে একটা অংশে কেইআইআইপি প্রকল্পে ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। নতুন পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে আরও কাজ হবে। এই সমস্যা দীর্ঘদিন থাকবে না।’