মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে , পরিষেবা চালু হলে যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয় তার জন্যে প্রতি বিভাগের সমস্ত আধিকারিকদের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন জিএম মেট্রো । একইসঙ্গে মেট্রো হতে চলেছে 'সুপার কুল'। অর্থাৎ , কাউন্টার এরিয়া থেকে প্ল্যাটফর্ম । এমনকি কোচের মধ্যেও হিমশীতল অবস্থা উপভোগ করবেন যাত্রীরা । তবে লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা দৈনিক গড়ে সাড়ে ছয় লক্ষই থাকবে না কমবে তা নিয়ে মতান্তর অবশ্য রয়েছে । তবে শুধু 'সুপার কুল' নয় এসক্যালেটর থেকে কোচের বেয়ারিং সব কিছুই রক্ষণাবেক্ষণ শুরু হয়েছে, যেখানে যা প্রয়োজন বদলে ফেলার কাজ করে চলেছেন মেট্রো কর্মীরা ।
advertisement
কলকাতার লাইফলাইন মেট্রো রেল । কিন্তু লাইফলাইনে বিপত্তি লেগেই থাকে । কোনও ব্রেক বাইন্ডিং সমস্যা । কখনও ঠান্ডা না হওয়ার । কখনও সমস্যা ধরা পড়ে দরজা খোলা বা বন্ধ হওয়া নিয়ে । এছাড়া মাঝে মধ্যেই মেট্রো কোচেও ধরা পড়ে নানা সমস্যা । সেই সব সমস্যা মেটাতে এবার উদ্যোগী কলকাতা মেট্রো রেল । লকডাউনের মধ্যে মেট্রো রেল চলাফেরা না করলেও ইঞ্জিনিয়াররা প্রতিদিন মেট্রোর ট্রায়াল দিচ্ছেন কারশেডে । তার সঙ্গে চলছে মেট্রোর পরিষেবা উন্নয়নের নানা কাজ । বেয়ারিং বদলানো , ব্রেক সিস্টেম পরীক্ষা করা , নানা যন্ত্রাংশ পরীক্ষা যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কারেন্ট কানেক্টর পরীক্ষা । এর পাশাপাশি চলছে এসি কোচের পরীক্ষা ।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তর্জে জানা গিয়েছে , কোচের আরএমইউ যা কচের ভিতরের বাতাসকে শীতল বাতাস রাখতে সাহায্য করে, তা পুরোপুরি খুলে ফেলে চলছে সাফাই । বদলানো হয়েছে ফিল্টার । এর পাশাপাশি মেট্রো সুড়ঙ্গ এবং ওপরের অংশে থার্ড রেল পরীক্ষা করা হয়েছে । সেখানেও বেশ কয়েকটি জায়গায় বদল করতে হয়েছে ।
যাত্রীদের একটা বড় অংশের অভিযোগ , পাতালে ঠান্ডা অনুভব হয় না । প্ল্যাটফর্মে থাকা এসি'র ফিল্টার তাই বদলে ফেলা হয়েছে । মেট্রো রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "লকডাউন চললেও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ বন্ধ হয়নি । সেই কাজ চলছে জোর কদমে । মেট্রো পরিষেবা যখন চালু হবে তখন যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে যাতায়াত করতে পারবেন ।"
ABIR GHOSHAL