দেশের অন্যতম ব্যস্ত নদীবন্দর কলকাতা। কলকাতা নদীবন্দরের মধ্যে খিদিরপুর ডক। আগামী আঠাশে অগাস্ট থেকে দু’মাসের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে এই ডক। বন্দর সূত্রে খবর, খিদিরপুর বন্দরে ঢোকার জন্য যে লকগেটটি রয়েছে তা বেশ পুরনো। দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
যে কোনও নদী বন্দরে লকগেট গুরুত্বপূর্ণ। জাহাজ চলাচলে নাব্যতা ঠিক রাখতে লকগেটের ভূমিকা থাকে। হুগলি নদীর জোয়ার-ভাটার ফলে বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজ ও বার্জের যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য দশ মিটার গভীর, তিরিশ ফুট চওড়া এই লকগেটের সংস্কার প্রয়োজন হয়ে পড়ছে।
advertisement
খিদিরপুর ডকে এই মুহূর্তে আঠারোটি বার্থ এবং তিনটি ড্রাইডক রয়েছে। সমস্ত জাহাজকেই এই লকগেট পেরিয়ে আসতে হয়। পণ্য সরবরাহকারী জাহাজ যেমন রয়েছে, তেমন আন্দামানের সঙ্গে যাত্রী পরিবহণের জাহাজও এখান থেকে ছাড়ে। আপাতত ঠিক হয়েছে খিদিরপুর ডকের দেড় কিলোমিটার আগে হুগলি নদীর উপর তিনটি বার্থ রয়েছে। এগুলিকে বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হবে। ডকের সংস্কারের ফলে খিদিরপুর ও গার্ডেনরিচের রাস্তায় যান চলাচলে প্রভাব পড়বে। তার জন্য কলকাতা পুলিশের সাহায্য চেয়েছে ডক কর্তৃপক্ষ।
নেতাজি সুভাষ ডকে তিনটি বার্থ ব্যবহার করা হলেও, সেখানেও পরিকাঠামো তৈরি নেই। ফলে খিদিরপুরের মতো দ্রুত পণ্য ওঠানামায় অসুবিধা হবে। সেই পরিস্থিতিতে পুজোর মুখে কলকাতার বাজারে কিছু সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে। আপাতাত দু মাসের কথা বলা হলেও, সূত্রের খবর পুরোপুরি কাজ শেষ হতে তিন-চার মাসও লেগে যেতে পারে।
ক্যামেরায় শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও শুভব্রত কুণ্ডুর সঙ্গে উজ্জ্বল রায় ও আবীর ঘোষাল, নিউজ18 বাংলা