২ নম্বর জাতীয় সড়কে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনা সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত দুধের গাড়ি ও ব্রেক ডাউন ভ্যান বেআইনিভাবে জাতীয় সড়কের ধারে পার্কিং করেছিল। জাতীয় সড়কের ওপরে ব্ল্যাকস্পটগুলি কিভাবে মরণ ফাঁদ হয়ে উঠেছে, অভিষেকের ঘটনাতেই তা প্রমাণিত। যদিও ব্ল্যাকস্পট গুলিতে নজরদারির ওপর জোর দেওয়ার কথা একাধিক বৈঠকে জানিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহেই ২, ৬ ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে থাকা ব্ল্যাক স্পটগুলিতে নজরদারি নিয়ে বৈঠক করেন জাতীয় সড়ক অথরিটির আধিকারিকরা।
advertisement
জাতীয় সড়ক ২ -এ দুর্ঘটনার সংখ্যা (বছরে)
পরাজ মোড় ৯
গলসি মোড় ৭
গলিগ্রাম মোড় ৮
অণ্ডাল মোড় ১৩
কাজোড়া মোড় ১০
গান্ধি মোড়
এফসিআই ক্রসিং ৮
ডানকুনি ১১
জাতীয় সড়ক ৩৪
বিমানবন্দর গেট ১৯
গিরজা মোড় ১৬
ধুবুলিয়া বাজার ১০
বেথুয়াডথরি ১০
যুগপুর ৮
মধ্যমগ্রাম চৌমাথা ১২
জাতীয় সড়ক ৬
সলপ, ডোমজুড় ২১
পাকুড়িয়া, ডোমজুড় ১২
ধূলাগড় টোলপ্লাজা ১০
লছমাপুর, খড়্গপুর ৫
বৈঠকে এই ব্ল্যাকস্পগুলির ওপর নজরদারিতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
-ব্ল্যাক স্পটগুলিতে ট্রাফিক সিগন্যালে বদল আনা হচ্ছে
-আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু হচ্ছে
-ব্ল্যাকস্পটগুলিতে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা
-হাই-রেজেলিউশন ক্যামেরার ছবি সরাসরি কন্ট্রোল রুমে পাঠানো যাবে
-ব্ল্যাকস্পটে থাকবে স্পেশ্যাল ইউনিট
-কোনও দুর্ঘটনা হলে দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছবে
-রাস্তার ধারে পার্কিং রীতি মানা হচ্ছে কিনা তা নজরে রাখবে ইউনিট
-প্রতিটি রাস্তায় গর্ত মেরামতি হবে দীপাবলির আগে
বৈঠকে এনএইচ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল, তাদের কর্মীরা যান নিয়ন্ত্রণে নামলেও গাড়িচালকরা তাদের মানতে চাইছে না। প্রয়োজনে মিলছে না পুলিশী সাহায্য। এখন থেকে পুলিশ বা রাজ্য প্রশাসনের সাহায্য পেতে অসুবিধা হবে না - বৈঠকে এই আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য।