TRENDING:

মুখ থেকে বাঁশির শব্দ, ৭ বছরের শিশুর সঙ্গে অবশেষে যা ঘটল

Last Updated:

মঙ্গলবার দুপুরে শ্বাসনালী থেকে বাঁশি বের করে ওই শিশুকে রক্ষা করল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: বাঁশি গিলে ফেলে বিপাকে ৭ বছরের শিশু। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে শ্বাসনালী থেকে বাঁশি বের করে ওই শিশুকে রক্ষা করল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল। আপাতত শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলেই দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শিশুটির মা এবং বাবা
শিশুটির মা এবং বাবা
advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দক্ষিণ বারাসাতের কাছে হোগলা অঞ্চলের বাসিন্দা ৭ বছরের শাহরুল অখুন খেলার ছলে একটি বাঁশি গিলে ফেলে। বাবা মা দেখতে পান শিশুটি কাশছে। আর কাশির সময় গলার ভেতর থেকে বাঁশির মত শব্দ হচ্ছে। এরপরই শিশুটিকে নিয়ে প্রথমে দক্ষিণ বারাসাতের একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে চিকিৎসকরা দেখে জানিয়ে দেন অন্যত্র নিয়ে যেতে হবে। তখন পরিবারের সদস্যরা শিশুকে নিয়ে আসে বারুইপুর হাসপাতালে। সেখানে থেকেও রেফার করা হয় ওই রোগীকে। পরিবারের সদস্যদের পরামর্শ দেওয়া হয় পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যেতে। এরপর সোমবারই সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ নিয়ে আসা হয় শিশুকে। পরিবারের অভিযোগ এক্সরে করে দেখা হলেও, বাঁশি বের করার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সোমবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি রেখে মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ জানানো হয় এই হাসপাতাল কিছুই করতে পারবে না।

advertisement

আরও পড়ুন, শুধু মেসি-দি মারিয়া নন, আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ দিতে পারে এই ৫ তারকা

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অসহায় পরিবার তখন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের স্মরণাপন্ন হয়। এখানেই ইএনটি বিভাগে দেখানোর পর চিকিৎসক দীপ্তাংশু মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর টিম সিদ্ধান্ত নেন অবিলম্বে ব্রংকোস্কপির মাধ্যমে শিশুর শ্বাসনালীর ডান দিকে আটকে থাকা বাঁশিটি বের করবেন। সেই মতোই অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বাঁশিটি বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। সব ঠিক থাকলে বুধবারই ছেড়ে দেওয়া হবে ৭ বছরের ছোট্ট শাহরুলকে।

advertisement

আরও পড়ুন, বিশ্বকাপে বিরাট অঘটন! আর্জেন্টিনা হেরে গেল সৌদির কাছে, হতাশ মেসি

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

চিকিৎসক দীপ্তাংশু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "আরও দেরি হলে নিউমোনিয়া, এমন কী মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। আমরা যত কম সময়ে সম্ভব শিশুর শ্বাসনালী থেকে বাঁশিটি বের করে এনেছি। এখন একদম ভালো আছে। আমরা হয়তো আগামী ২৪ ঘণ্টায় ছেড়েও দেব।" কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের এই পরিষেবা দেখে চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে শিশুর পরিবার।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
মুখ থেকে বাঁশির শব্দ, ৭ বছরের শিশুর সঙ্গে অবশেষে যা ঘটল
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল