প্রথম পর্যায়ে ৪ লক্ষ ২ হাজার ৫৫৭ টি আসনের জন্য আবেদন করেছিলেন ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৬৮ জন পড়ুয়া। এর মধ্যে তালিকায় থাকা ২ লক্ষ ৩২ হাজারের কাছাকাছি ছাত্রছাত্রী প্রথম দফায় ভর্তির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মধ্যে থেকে কলেজে ভর্তি হলেন ২ লক্ষ ২৫ হাজার ৮২৫ জন। অর্থাৎ ৭০০০ মতন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হলেন না।
advertisement
প্রথম দফায় আবেদন করার পর। ফলে সব মিলিয়ে প্রথম দফায় প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার মতো আসল ফাঁকা রয়ে গেল।
আরও পড়ুন: প্রকাশ করলেই হতে পারে ফের মামলা! তাই অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে চূড়ান্ত সতর্ক এসএসসি
কলকাতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন বঙ্গবাসী কলেজে। ১,১৩৭ জন। এই কলেজের অধ্যক্ষা হিমাদ্রী ভট্টাচার্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের প্রথম দফায় ছাত্র ভর্তি হয়েছেন এক হাজারের বেশি। তবে আমাদের মোট আসনের তুলনায় প্রথম পর্বে ভর্তির সংখ্যা খুব কম। বহু আসন শূন্য পড়ে থাকবে।’’
সুরেন্দ্রনাথ কলেজে আসন সংখ্যা ৩০০০ এর বেশি। প্রথম দফায় ভর্তি হলেন ১০৫০ জন ছাত্রছাত্রী। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম আশুতোষ কলেজে আসন সংখ্যা ৩০৩৩। ভর্তি হয়েছেন মাত্র ৯১১ জন। ৮৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহিলা কলেজ লেডি ব্রেবোর্ন-এর কলা ও বিজ্ঞান বিভাগে মোট আসনসংখ্যা ৬২৯। সেখানে এখনও ভর্তি হয়েছে ২৩৫ জন ছাত্রী।
প্রথম দফায় মেধাতালিকায় থেকে ভর্তির আবেদন করেছিলেন ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৬০ জন। এর মধ্যে ভেরিফিকেশনের সময় নম্বর, ক্যাটাগরি ভুল দেওয়া এবং অনুপস্থিত থাকায় কলেজের পক্ষ থেকে বাতিল করা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মতো আবেদনকারীর নাম। আর নিজেরাই ভর্তি বাতিল করেছেন প্রায় দু’হাজার মতো।
এই ফাঁকা থাকা আসনগুলি আপগ্রেডেশন রাউন্ডে চলে যাবে। প্রথম দফায় ভর্তির আপগ্রেডরেশন রাউন্ড শুরু হচ্ছে রবিবার থেকে। এই দফায় ভর্তি আসন বন্টন এবং ভেরিফিকেশন চলবে নয় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।