সন্ধে সাড়ে ছ'টা নাগাদ জাদুঘর চত্বরে প্রথম গুলি চলে৷ কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পার্ক স্ট্রিট থানা এবং নিউ মার্কেট থানার পুলিশ৷ পরের পর গুলির শব্দে তখন এলাকায় রীতিমতো আতঙ্ক, ছোটাছুটি৷ রবিবার বিকাল তিনটে নাগাদ আবার গুলিবিদ্ধ গাড়ির পরীক্ষা করতে আসবেন ফরেন্সিক দল বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ, বাংলার উপকূলে সতর্কতা, আসছে বৃষ্টি! আবহাওয়ায় বড় বদল
advertisement
সারারাত ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার এসএসকেএম-এ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে অক্ষয় কুমার মিশ্রকে। তারপর দুপুরে তোলা হবে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। নিউ মার্কেট থানার পুলিশ আধিকারিক সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিক রাত জেগে অক্ষয়কে কোর্টে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ও ডকুমেন্ট তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুন: 'অপারেশন মোজো'- রক্ত না ঝরিয়েই খুনে সিআইএসএফ জওয়ানকে বাগে আনল পুলিশ!
এই মুহূর্তে ধৃত জওয়ানকে থানা থেকে বার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দু মাস ধরে ডিপার্টমেন্টের লোকজন সমস্যা করছিল, তাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। হাসপাতালে যাওয়ার সময় বললেন ধৃত জওয়ান। শনিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ধৃত জওয়ান থানায় কোন কথা বলেনি, তদন্তকারী অফিসাররা অনেক প্রশ্ন করলেও কোন উত্তর দেননি।
ধৃত জওয়ানকে সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে পুলিশ কর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তারপর আদালতে পেশ করা হবে। সূত্রের খবর, সিআইএসএফ বারাকের ভিতরে ঢুকে প্রথমে পুলিশ বাহিনী বুঝতে পারেনি আততায়ী কোথায় রয়েছে৷ হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে তাঁকে আত্মসমর্পণের জন্য বলা হয়৷ কিছুক্ষণ পরে পুলিশ কর্তারা বুঝতে পারেন, বারাকের ভিতরে একটি ঘরের ভিতরে বসে রয়েছেন অভিযুক্ত কনস্টেবল অক্ষয় কুমার শর্মা৷ তখনও তার হাতে ধরা একে ৪৭ রাইফেল৷ এর পরেই হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে দূর থেকে অক্ষয়কে বোঝানোর কাজ শুরু হয়৷ অক্ষয় জানায়, সে পুলিশের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে চায়৷ নিজের কিছু ক্ষোভের কথাও জানায় ওই সিআইএসএফ জওয়ান৷ কিন্তু শর্ত দেয়, কোনওরকম অস্ত্র ছাড়া তার কাছে যেতে হবে পুলিশ কর্তাদের৷