এদিন চেতলার একটি স্কুলে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করে ফিরহাদ বলেন, ''বাজারে নিয়মিত মাইকিং চলছে। নো মাস্ক নো সেল। কোন বিক্রেতা বা ক্রেতা মাস্ক না পরলে তাঁর স্টল তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।'' এখানেই না থেমে ফিরহাদের সংযোজন, ''ট্রেন বা বাস কমানো হয়নি। ১০০% ফ্লিট ইউজ করা হচ্ছে। রাত ১০টার মধ্যে যাতে লকডাউন করা যায়, তাই এই সিদ্ধান্ত। কনটেইনমেন্ট জোন জানিয়ে দেওয়া হবে আজকেই। কনটেইনমেন্ট জোনের পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যালোচনা করে বাড়ানো বা কমানো হবে।''
advertisement
আরও পড়ুন: করোনা-আখড়া এয়ারপোর্ট? কলকাতা বিমানবন্দরে ভয়ানক কাণ্ড! রিপোর্ট আসতেই জানা গেল...
কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ''কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে শুরু করছি। প্রায় দেড় লক্ষ এ রকম এজ গ্রুপের ছাত্রছাত্রী আছে। যে যে স্কুল অফার করবে পরিকাঠামোগত ভাবে প্রস্তুত হয়ে, সেখানে সেখানে আমরা ভ্যাকসিনেশন সেন্টার করব।'' তবে, ফের করোনার দাপট শুরু হলেও আশাবাদী কলকাতার মেয়র। তাঁর কথায়, ''এবারের ক্ষেত্রে দিন পাঁচেকের মধ্যে ঠিক হয়ে যাচ্ছেন আক্রান্তরা। কিন্তু কোনটা ডেল্টা স্ট্রেন কোনটা কী বোঝা যাচ্ছে না। উত্তীর্ণ সেফ হোম করার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে।''
আরও পড়ুন: 'খরচাও কমে, সম্পর্কও বাড়ে', BJP-কে অনুসরণ করছে তৃণমূল! বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
এদিকে এদিনও বিধিনিষেধের বিষয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে পাল্টা কটাক্ষ করতে অবশ্য ছাড়েননি ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ''দিলীপ ঘোষ রোজ মর্নিং ওয়াকে গিয়ে কিছু বললে তার উত্তর আমি দেবো কী ভাবে? রাজ্য সরকারের অনেক দায়িত্ব আছে। আমাদের অর্থনীতি, জিডিপি দেশের অর্থনীতির থেকে ভালো।''