কিছুদিন আগেই শহরের বুকে ঘটে যায় আরও একটি বাস দুর্ঘটনা। বৃষ্টির মধ্যে সেদিন ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে উল্টে যায় একটি বাস। দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়। সেই সময়ই কড়া নির্দেশ দেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। জানিয়েছিলেন, অসুস্থ, লাইসেন্স ফেল হওয়া, 'আনফিট' যে বাসগুলি রাজপথে দৌড়াচ্ছে তাদের গতিতে লাগাম টানতে হবে। বাজেয়াপ্ত করতে হবে বাসগুলিকে।
advertisement
আরও পড়ুন : ধর্মতলায় উল্টে গেল মিনি বাস, রবিবারের দুপুরে কলকাতায় মারাত্মক দুর্ঘটনা!
এরইমধ্যে রবিবার ফের বাস দুর্ঘটনার (Kolkata Bus Accident) সাক্ষী থাকল কলকাতা। ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ের সামনে এদিন একটি মিনিবাস উল্টে যায়। দুর্ঘটনার কবলে পড়েন শিশু সহ প্রায় ৩০ জন যাত্রী। পরে বাসটির নথিপত্র যাচাইয়ের পর উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, তিন বছর আগেই বাসটির ইনসিওরেন্স ফেল হয়ে গিয়েছিল। রবিবার বিকেলে দুর্ঘটনার পর (Bus Accident) ফের কড়া বার্তা দেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। আনফিট বাসগুলিকে অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির কোনও ফিটনেস (Fitness Certificate) সার্টিফিকেট ছিল না। পাশাপাশি রিসোল টায়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। আর এই দু’টি বিষয়ই দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে গুরুতর কারণ হিসেবে ধার্য কড়া হচ্ছে প্রাথমিক তদন্তে। সূত্রের খবর, হাওড়া আরটিও (RTO) গাড়িকে একাধিক কারণে ব্ল্যাক লিস্টেড ঘোষণা করে। তার কারণ বাসের যে মালিক তিনি মারা গিয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তার পরবর্তীতে বাসটি চালানো হলেও নাম পরিবর্তন করা হয়নি। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর বাসটির ইনসিওরেন্স ফেল হয়ে যায়। এক কথায় যথাযথ নথি ছাড়াই বাসটি চলছিল ওই রুটে। আজকের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ফিটনেস না থাকা সত্বেও শহরের বুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এমন বহু বাস। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে সেই বাস গুলিকে চিহ্নিত করে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।