এরপরেই মন্ত্রীর কটাক্ষ, ইডি-সিবিআইয়ের ‘ভয়’ পেয়ে অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন, বা দূরে সরে গিয়েছেন, কিন্তু, তিনি তা করবেন না৷ ফিরহাদ স্পষ্ট কথায় বলেন, ‘‘ভেবেছেন ভয় পেয়েছি? অনেকে ভয় পেয়েছে। আমরা পাইনি। কেউ কেউ চলে গিয়েছেন। নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সকলে নয়।’’
হঠাৎ এমন কথা কেন বললেন ফিরহাদ? রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, এমন কথা বলে আসলে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেই নিশানা করতে চেয়েছেন তিনি৷ কারণ, প্রায়শই তৃণমূল দাবি করে, নারদ মামলার অভিযোগ থেকে ‘মুক্তি’ পেতেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু৷
advertisement
এদিন বিধানসভায় কেন্দ্রের ন্যায়সংহিতা বিল নিয়ে বিশেষ প্রস্তাব আনেন শাসকদলের বিধায়কেরা৷ সেই ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস ডেলিভারি সিস্টেম’বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীনই হঠাৎ উপরোক্ত মন্তব্য করেন ফিরহাদ৷
পাশাপাশি, বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কেন তাড়াহুড়ো করছে, এদিন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা। আর অনিরাপদ শহর হল দিল্লি, যা অমিত শাহর পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে। তিন রাজ্যের ভোটে জিতেও আতঙ্কিত মোদি-শাহ। সেই কারণে ন্যায় সংহিতা বিল তাঁরা এনেছেন। ’’
আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি! রাজস্থানে খুন করণি সেনার প্রধান, ‘গ্যাং ওয়ার’ না অন্য কিছু
এই বিলকে ‘বর্বরোচিত বিল’ বলে অভিহিত করে ফিরহাদ বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের ধরার নামে বহু নিরীহ মানুষকে জেলে পোরা হচ্ছে। এমনকি, বহু সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকেও এই আইনের জেলে ঢোকানো হয়েছে। আসলে যিনি বা যাঁরা কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের নীতির ও কাজের বিরোধিতা করেন বা করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে এই দমনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। এটা কখনওই কাম্য নয়।’’