চেতলা থানা থেকে আসা পুলিশের গাড়িতেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন ফিরহাদ৷ আদালতের নির্দেশ মেনে কড়া নিরাপত্তায় বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে৷ গোপালনগর, কালীঘাট হয়ে মন্ত্রী যখন ফিরছেন, তখনও রাস্তার ধারে বেশ কিছু অনুগামী ভিড় করেছিলেন৷ যদিও কোথাও কোনও স্লোগান দেওয়া হয়নি৷
অন্যদিকে ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার আশায় দুপুরের পর থেকেই চেতলায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন ফিরহাদের পরিবারের সদস্য সহ স্থানীয় বাসিন্দারা৷ দাদুর ফেরার অপেক্ষায় ছিল ফিরহাদের ছোট্ট নাতনিও৷ শেষ পর্যন্ত সন্ধে ৬.৪০ মিনিট নাগাদ বাড়িতে পৌঁছন ফিরহাদ৷ পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে সবার উদ্দেশে নমস্কার করে বাড়িতে ঢুকে পড়েন পরিবহণমন্ত্রী৷ চেতলার বাড়ির বাইরে কলকাতা পুরসভার বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড কো অর্ডিনেটরও এসেছিলেন৷ তাঁরাই মূলত অনুগামীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করেন৷
advertisement
আদালতের নির্দেশ মতো এর পরই মন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকা বেরনোর তিনটি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ মন্ত্রীর বাড়ির বাইরে সিসিটিভি-ও বসানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ৷ বসছে পুলিশি প্রহরাও৷ যাতে কারা বাড়িতে ঢুকছেন, বেরোচ্ছেন তার প্রমাণ থাকে৷ পাশাপাশি, আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ফিরহাদ হাকিম সহ ধৃত চার নেতা গৃহবন্দি থাকাকালীন কারা তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন, ভিজিটর্স বুকে নথিভুক্ত করে রাখতে হবে৷
দুই মন্ত্রীকে এ দিন গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় ভার্চুয়ালি প্রশাসনিক কাজ করারও অনুমতি দিয়েছে আদালত৷ তবে তাঁরা কোন কোন প্রশাসনিক বৈঠক করছেন, সেটিও নথিভুক্ত করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷
এ দিন চার ধৃত নেতার জামিনের বিষয়টি নিয়ে শুনানির জন্য় পাঁচ সদস্য়ের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেছে কলকাতাই হাইকোর্ট৷ আগামী সোমবার থেকে সেই বেঞ্চের সামনে শুনানি শুরু হবে৷ ফলে সোমবার পর্যন্ত গৃহবন্দি থাকতে হবে ফিরহাদকে৷ বাকি তিন নেতার ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ প্রযোজ্য৷
Abir Ghosal/Arpita Hazra