গতকাল রাতে কসবা এলাকার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্তকুমার ঘোষকে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়৷ যদিও বরাতজোরে প্রাণে বাঁচেন তৃণমূল কাউন্সিলর৷ ঘটনাস্থল থেকেই যুবরাজ সিং নামে এক দুষ্কৃতী ধরা পড়ে৷ ওই দুষ্কৃতীর মুখেই শোনা গিয়েছিল জনৈক ইকবালের নাম৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এই ইকবালই তিন জন দুষ্কৃতীকে বিহার থেকে নিয়ে আসা হয়৷ এ দিন পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে ঘটনার মূল চক্রী আফরোজ ওরফে গুলজার ওরফে ইকবালকেও গ্রেফতার করে পুলিশ৷
advertisement
আরও পড়ুন: কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলরের উপরে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড, গলসিতে পুলিশের জালে ইকবাল
দলীয় কাউন্সিলরের উপরে এই হামলার ঘটনায় পুলিশের উপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম৷ তিনি বলেন, এনাফ ইজ এনাফ৷ উত্তর প্রদেশ, বিহার, আহমেদাবাদের কালচার এখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না৷ আমাদের কাউন্সিলর খুন হলে তাঁর পরিবার, আমার দল ক্ষতিগ্রস্ত হত৷ পুলিশকে বলব অ্যাক্ট নাউ৷ মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে বার বার বলার পরেও কী করে বাইরে থেকে অস্ত্র, দুষ্কৃতী বাংলায় ঢুকছে? ইন্টেলিজেন্স কোথায়? আমাদের রাজ্যটা অপরাধীদের জন্য নয়৷ বলছে মুঙ্গের থেকে অস্ত্র আসছে৷ অস্ত্র যাতে না আসে সেটা তো পুলিশকে দেখতে হবে৷
জল জমলে তো আমি পুলিশকে গিয়ে জিজ্ঞেস করব না কীভাব জল নামবে? সেভাবে পুলিশকেই অস্ত্র, দুষ্কৃতী আসা আটকাতে হবে৷
এ দিন বিকেলে আক্রান্ত কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে দেখাও করতে আসেন ফিরহাদ হাকিম৷ তিনি জানান, রাজনীতি ছাড়ার কথা বললেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত হয়েছেন সুশান্ত৷