চেতলা ফিরহাদের পাড়া। চেতলা থেকে রাজনীতির জীবন শুরু করেন তিনি। সেখানেই এদিন ফিরহাদ গেলেন সিপিআইএম ক্যাম্পে। চা খেলেন। এর কী কারণ? ফিরহাদের ব্যাখ্যা, 'আমাদের এখানে কেউ কংগ্রেস, কেউ সিপিআইএম করে, কেউ তৃণমূল করে। কিন্তু আমরা সবাই চেতলার ছেলে। আমরা একসাথে খেলাধূলা করেছি। আমরা আড্ডা মারি। এটা চেতলার সংস্কৃতি। আমাদের খাবার ওদের দিই, ওদের ক্যাম্পের খাবার আমরা খাই। এটা অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। এর মধ্যে অন্য কিছু নেই।'
advertisement
বস্তুত ফিরহাদকে পেয়ে এদিন বাম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। সিপিএম কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বসু বলেন, ''এগুলো কোনও ব্যাপার নয়। যার যার রাজনীতি তাঁর কাছে, তার মাঝে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আসবে কেন?'' টানটান রাজনৈতিক লড়াইয়ের মধ্যে এই চিত্রই যেন সৌজন্যের নজির রেখে গেল ভবানীপুরের উপনির্বাচনে।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার, 'হারের আগেই বাহানা তৈরি'র কটাক্ষ ফিরহাদের
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৭.৫৭ শতাংশ। যদিও এদিন সকালেই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা ভবানীপুরের বাসিন্দা মদন মিত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন ভবানীপুর উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তাঁর অভিযোগ, ভবানীপুরের অন্তর্গত ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে বুথ জ্যাম করছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, ''৭২ নম্বর ওয়ার্ডের ১২৬ নম্বর বুথে ভোট শুরুই করা যায়নি। এই এলাকা মদন মিত্রের। তিনি বুথ দখল করতে চাইছেন।' যদিও প্রিয়াঙ্কার দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “মদন মিত্রের এলাকা বলে এখানে কোনও এলাকা আছে নাকি? এই পুরোটাই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকা। ভবানীপুরে রিগিং হয় না। অকারণে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন বিজেপি প্রার্থী। নাচতে না জানলে উঠোন ব্যাঁকা।'